
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় চমক দেখা গেল রাজ্য রাজনীতিতে। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় শনিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। এদিন ক্যামাক স্ট্রীটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের উপস্থিতিতে দলবদল করলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এক সর্বভারতীয় নেতা তৃণমূলে যোগদান করবেন। সেই জল্পনার অবসান হল বাবুলের যোগদানে। সদ্য অর্পিতা ঘোষ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছেন। তাই বাবুল আসানসোলের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যসভায় যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাবুল টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ৭ জুলাই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত করা হয় তাঁকে। বিষয়টি একেবারেই ভাল ভাবে নেননি তিনি। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব শুরু হয়। পরবর্তীকালে ৩১ জুলাই বাবুল জানান তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে থাকবেন না। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই, এটাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার নিজের অবস্থান বদল করলেন। রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, এতে বিজেপির ক্ষতি হবে না। পরের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী যিনি হবেন, তিনিই জিতবেন। তবে এটা পরিষ্কার সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হল বাবুলের যোগদানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক মোটের উপর ভাল। বাবুলের মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাবুলকে কেন সরানো হল? তাই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো যেভাবে বাবুল বিজেপি ছাড়লেন, তাতে হতবাক গেরুয়া শিবির।