
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ ‘স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি’র অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা অবসান। গোটা বিশ্বের কাছে আজ একটি উজ্জ্বল দিন। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই আজ উদ্বোধন হবে ‘স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি’ । গোটা বিশ্বের কাছে সাম্যের বার্তা দেবে সন্ত রামানুচার্য-এর এই বিশালাকার মূর্তি। এই মহান সন্তের ১০০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন এক বিশাল অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার আজ বিশিষ্টদের উপস্থিতিতে হায়দারাবাদের কাছে সামশাবাদে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজ উদ্বোধন ২১৬ ফুট উচ্চতায় সন্ত রামানুজের এই বিশালাকার মূর্তি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম এই মূর্তিই স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি নামে পরিচিত। ৪৫ একর জমির উপর অবস্থিত এই মূর্তির উদ্বোধনে গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে অনুষ্ঠান। যা চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি অবধি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ত রামানুচার্যের ১২০ কেজি সোনার মূর্তির উন্মোচন করা হবে। আজ, ৫ ফেব্রুয়ারি তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও চিন্না জিয়া স্বামীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মূর্তির উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ৫৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ভবনের উপর স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি বসানো হয়েছে। এই ভবনের নাম হয়েছে ‘ভদ্রা বেদী’।
১০১৭ সালে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে জন্মগ্রহণ করেন সন্ত রামানুচার্য। তিনি গোটা ভারত ঘুরে সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষদের জীবনযাত্রাকে বোঝার চেষ্টা করেছিলেন। রামানুজাচার্য ছিলেন আলওয়ার সন্ত যমুনাচার্যের প্রধান শিষ্য। গুরুর ইচ্ছানুসারে রামানুজ তিনটি বিশেষ কাজ করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি ব্রহ্মসূত্র, বিষ্ণু সহস্রনাম এবং দিব্য প্রবন্ধধামের ভাষ্য রচনা করেছিলেন। তিনি গৃহ ত্যাগ করেন এবং শ্রীরঙ্গমের জ্যোতিরাজ নামে এক সন্ন্যাসীর কাছ থেকে দীক্ষা নেন।