১০ হাজার মুসলিম পরলেন গেরুয়া পোশাক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আমতা: সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ নস্যাৎ করে ক্রমশ সংখ্যালঘু মহলে শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি। শুক্রবার হাওড়ার আমতার সেহগড়ি মাঠে যোগদান মেলা শীর্ষক জনসভার আয়োজন করে বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চা। সেই মঞ্চেই রাজ্যে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে উলুবেড়িয়া, আমতা, বাগনান-সহ একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূল ও সিপিএমের কয়েক হাজার মুসলিম নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন।
সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন বলেন, ‘আজ ১০ হাজার সংখ্যালঘুর বিজেপিতে যোগদান প্রমাণ করল বাংলার সংখ্যাকলঘু ভোটও বিজেপির পক্ষে আসছে’। তাঁর দাবি, ‘বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল সব সময় প্রচার করে বিজেপির সাম্প্রদায়িক দল। কিন্তু ভারতবর্ষ একমাত্র বিজেপিই সংখ্যালঘুদের আলাদা করতে চায় না সমাজ থেকে। তারা মনে করে, প্রত্যেক সংখ্যালঘুদের ভারত মায়ের সন্তান। কিন্তু কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল চিরকালই সংখ্যালঘুদের ভোটার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে। কখনই তাঁদের সমাজের মূলস্রোতে নিয়ে আসার সুযোগ করে দেয়নি। প্রমাণ সাচার কমিশনের রিপোর্ট।
ওয়াকম সম্পত্তি তৃণমূল নেতারা বেদখল করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছেন মুসলিমরা। বাংলার এই অবস্থার পরিবর্তন করতে সংখ্যালঘুদের স্বার্থেই একুশে বিজেপির সরকারের আসা প্রয়োজন। সংখ্যালঘুরা বুঝে গেছেন, বিজেপিজুজু দেখিয়ে আর বেশিদিন চলবে না। তাই বাংলার জেলার জেলায় সংখ্যালঘুরা দলে দলে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে দিচ্ছেন’।
এদিনের সভায় কার্যত সংখ্যালঘুদের ঢল নামে। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তার দু’ধারে মুসলিম সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ ভিড় করেছিলেন দিলীপ ঘোষকে দেখার জন্য। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় জনসমুহদ্রে ভেসে যায়। তার মধ্যে দিয়েই হুডখোলা জিপে সওয়াল হয়ে দিলীপ ঘোষ সভাস্থলে পৌঁছন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এযাবৎকালে হাওড়া গ্রামীণ জেলায় কোনও রাজনৈতিক দল এত বেশি সংখ্যক মুসলিমকে নিয়ে জনসভা করতে পারেনি। সভায় উপস্থিত বিজেপি নেত্রী ক্রীড়াবিদ জোতির্ময়ী শিকদার বলেন, ‘সংখ্যালঘু মানুষের জন্য একমাত্র বিজেপি ভেবেছে। মোদি সরকার তিন তালাক প্রথা তুলে দিয়ে সংখ্যালঘু মহিলাদের মুক্তি দিয়েছেন। এর প্রভাব আগামী একুশের ভোটে পড়তে বাধ্য’।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি শিবশঙ্কর বেজ, জেলা পর্যবেক্ষক সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি মাকসুদ আলি প্রমুখ।