স্বাধীনতা দিবসে বহুস্তরীয় নিরাপত্তার মোড়কে লাল কেল্লা সহ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণস্থল, মোতায়েন ১০ হাজার পুলিশ
নজরদারিতে কাইট ক্যাচার থেকে র্যাডার, এফআরএস ক্যামেরা

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। এবছর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। সেইসঙ্গে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে দিল্লিকে। করোনা আবহে কাটিয়ে এবার স্বাধীনত দিবস উপলক্ষ্যে ত্রিরঙ্গার রঙে আলোক সজ্জায় সেজে উঠেছে বড় বড় ইমারতগুলি। তবে সর্বত্রই চলছে পুলিশি নজরদারি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দিল্লির লাল কেল্লায় অনুষ্ঠানের দিন প্রায় সাত হাজার অতিথি সমাগম হতে পারে বলে, দাবি প্রশাসনের।
লাল কেল্লায় প্রতি বছরের মতো এবছরেও ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণস্থলটি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রবেশ পথেই রয়েছে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ক্যামেরা (এফআরএস)। গোটা চত্বরকে বহু স্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে। সোমবার স্বাধীনতা দিবসের দিন মনুমেন্ট চত্বরে ১০ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। লাল কেল্লার নিকটবর্তী স্থলের উঁচু ভবনগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ৪০০ ‘কাইট ক্যাচার’। আকাশ দিয়ে উড়ে আসা সন্দেহভাজন কোনো কিছু দেখলেই তাকে প্রতিহত করবে এই কাইট ক্যাচার। লাল কেল্লার চারপাশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকাকে “নো কাইট ফ্লাইং জোন” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মূল অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। মোতায়েন থাকবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম। লাল কেল্লা ও তার আশেপাশে নজরদারিতে থাকছে উচ্চ রেজ্যুলেশন সম্পন্ন ক্যামেরা।থাকছে এফআরএস ক্যামেরাও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া টিফিন বক্স, জলের বোতল, রিমোট কনট্ট্রোলড চালিত গাড়ি, সিগারেট লাইটার, ব্রিফ কেস, হাত ব্যাগ, দূরবীণ, ছাতা নিয়ে ঢোকার অনুমতি নেই।
স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) দেবেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দিল্লিজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। লাল কেল্লা চত্বরে ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট, অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘুড়ি, বেলুন, চাইনিজ লন্ঠন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। নিষেধ অমান্য করলেই কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। নজরদারিতে র্যাডার মোতায়েন থাকছে।
দিল্লিজুড়ে নাকাচেকিং চলছে। হোটেল, গেস্ট হাউস, রেস্তরাঁ, পার্কিং জোন সর্বত্র কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ভাড়াটে ও পরিচারকদের পরিচয় পত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।