
যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, কাটলিছড়া: একুশের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ জোট গড়ে যখন ভোটের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠিক তখন হাইলাকান্দি জেলার তিনটি আসনই দাবি করল হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এপিসিসির কাছে এদাবি জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেস সভাপতি জয়নাল উদ্দিন লস্করের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায়, ভোটের মুখে হাইলাকান্দি জেলায় কংগ্রেস সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদস্য ভূক্তি অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিগত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা কংগ্রেস নেতা অধ্যাপক হিলাল উদ্দিন লস্কর, আনাম উদ্দিন লস্কর, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী , সামস উদ্দিন বড়লস্কর, রুকন উদ্দিন, লালা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নুরুল হুদা চৌধুরী, কাটলিছড়া ব্লক কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি মুকুল মন্ডল, মহিলা নেত্রী পদ্মা দাস, প্রমুখ অংশ নেন।
সভায় গত বিধানসভা নির্বাচনে হাইলাকান্দিতে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ ওঠে। যদিও আগামী নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দেন সভাপতি জয়নাল উদ্দিন লস্কর। এদিনের সভায় বিগত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের পরাজয় এবং অবস্থান নিয়ে তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন এপিসিসির কাছে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে কাটলিছড়ার মহিলা কংগ্রেস নেত্রী পদ্মা দাস, বিগত ত্রিশ বছর কাটলিছড়ায় কংগ্রেস প্রার্থী গৌতম রায়ের জয়জয়কারের ইতিহাস তুলে ধরে একুশের ভোটেও কাটলিছড়ায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের দাবি জানান।
আরও পড়ুন:পদত্যাগ করতে পারেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী! জোর জল্পনা
তিনি বলেন, গত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী গৌতম রায়ের একাংশ দুর্নীতিবাজ ক্যাডারের উদ্ধত আচরণের জন্য ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। যার ফলে আসনটি দলের হাতছাড়া হয়। তাই ঐতিহ্যবাহী কাটলিছড়া আসনটি জুটের জন্য হাতছাড়া না করতে তিনি সভায় জোরদার দাবি জানান। এক্ষেত্রে চা বাগান জনগোষ্ঠীর কাউকে প্রার্থী করা হলে অনায়াসে আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
এদিনের বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর জেলার তিনটি আসনই দাবি করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হাইলাকান্দি জেলার তিনটি আসনেই দলের সাংগঠনিক শক্তি মজবুত রয়েছে। তাই তিনটি আসনেই কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দলীয় হাইকমান্ড যদি এআইইউডি এফের সঙ্গে জোট গড়ে তুলেন তাহলে কম করেও দুইটি আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়।
সভাপতি জয়নাল উদ্দিন লস্কর তার বক্তব্যে, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে জেলার গ্রাম গ্রামান্তরে সদস্যভুক্তি অভিযান সম্পন্ন করতে জেলা কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারীদের আহবান জানান। এক অক্টোবর থেকে ত্রিশ অক্টোবর পর্যন্ত সদস্য ভুক্তি অভিযান চলবে। এবারের অভিযানে কম করেও দশ হাজার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য তিনি জেলা, ব্লক ও মন্ডল কংগ্রেস কর্মকর্তাদের বুথ পর্যায়ে যাওয়ার আহবান জানান। সভায় শীঘ্রই বুথ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।