
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: নারী নির্যাতনের প্রকৃত চিত্রটা যে সত্যিই ভয়াবহ হয়ে চলেছে দিনে দিনে, তার আরও এক নিদর্শন মিলল গুরগাঁওয়ের হাসপাতালে। আইসিইউতে ভরতি ভেন্টিলেশনে থাকা ২১ বছরের অচেতন রোগিনীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার বয়স ২১ বছর।ওই তরুণী যক্ষ্মায় আক্রান্ত।
প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২১ তারিখ তাঁকে সেক্টর-৪৪-এর ফর্টিস হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আইসিইউয়ের একটি আলাদা ঘরে ছিলেন তিনি। গত ২১ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত চেতনা ছিল না তাঁর। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। চেতনা ফিরে আসার পরে তিনি তাঁর বাবাকে লেখা তিন পাতার দীর্ঘ চিঠিতে নিজের লাঞ্ছনার বিস্তারিত বিবরণ দেন। চিঠি পড়ে স্তম্ভিত হয়ে যান তরুণীর বাবা। সেদিনই দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তরুণীর পরিবারের তরফে গোটা ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁকে রীতিমতো আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা, কেন তাঁর মেয়েকে আইসিইউ-তে দেখভালের জন্য পুরুষকর্মী রাখা হল? হাসপাতালের রেকর্ড ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তরুণীর চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিকাশ। বুধবারই এফআইএর দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে মেয়েটির বিবৃতি নিতে গেলে তাদের আটকে দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের দাবি, মেয়েটি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তবে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সে হাসপাতালের স্থায়ী কর্মী নয়। বহিরাগত কর্মী হিসেবে কাজ করতে এসেছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউনের আবহ কাটিয়ে আগামী ১ নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে সুন্দরবনের সব পর্যটন কেন্দ্র
পুলিশ কমিশনার কেকে রাও জানিয়েছেন, নির্যাতিতার একটি মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে বুধবার। তাঁর জন্য পাহারায় মোতায়েন করা রয়েছে পুলিশকর্মীদের। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর কাউন্সেলিংয়েরও ব্যবস্থা করা হবে। তখন তাঁর বিবৃতিও গ্রহণ করা হবে। এদিকে ফর্টিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন যাতে তদন্ত সঠিক পথে এগোয়।