ইছাপুর গুলি কাণ্ডে পুলিশের জালে ৪ সুপারি কিলার

অলোক কুমার ঘোষ, ব্যারাকপুর: উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে প্রাক্তন মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলর চম্পা দাসকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ৪ কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে। ধৃতদের নাম জানা গেছে তপন, শুভ, টুবাই এবং রকি। সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নোয়াপাড়া থানার তদন্তকারি পুলিশ অফিসাররা ওই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে তপন, শুভ এবং টুবাইকে পুলিশ জগদ্দল থানা এলাকা এবং রকিকে ইছাপুর মায়াপল্লী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই চার অভিযুক্তই গত শনিবার রাতে দুটি বাইকে করে চম্পা দাসের উপর হামলা করতে এসেছিল। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অপরাধীরা গ্রেফতার হওয়ায় খুশি চম্পা দাসের পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলর চম্পা দাস। তাকে ৪ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী দুটি বাইকে চেপে খুন করতে আসে । দুষ্কৃতীরা চম্পা দাসকে লক্ষ্য করে ২ টি গুলি চালালেও একটি গুলি চম্পা দেবীর কোমরের নিচে থাইতে লাগে, অন্য গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন চম্পা দাস। তাকে প্রথমে ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ও পরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয় চম্পা দেবীর। আপাতত তিনি বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় এই শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন:প্রয়াত বিশিষ্ট সংবাদব্যক্তিত্ব, যুগশঙ্খ পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রাক্তন ইডি নীলোৎপল চৌধুরী
নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই খুনের চেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল। নোয়াপাড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত শুভ, তপন, টুবাই এবং রকি প্রত্যেকে কুখ্যাত সমাজ বিরোধী ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতরা যে বন্দুক দিয়ে চম্পা দেবীর উপর প্রাণঘাতী হামলা করেছিল, সেই বন্দুক উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে চম্পা দাসের উপর প্রাণঘাতী হামলা করেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ ধৃত চার অভিযুক্তকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে আদালতের কাছে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে। তদন্তের গুরুত্ব বুঝে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তাদের ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তদন্তকারি পুলিশ অফিসাররা ওই ৪ দুষ্কৃতীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তদন্তের কিনারা করতে চাইছে।
আরও পড়ুন:সুশান্ত কাণ্ডে নয়া মোড়, স্বজনপোষণে লিপ্তদের ছবি বয়কটের ঘোষণা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নিয়ে পুলিশ ঘটনার পুনঃনির্মাণ করবে, যে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল, সেই বন্দুকটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। এই চার দুষ্কৃতী ছাড়াও এই হামলার নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।