
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভায় ধুন্ধমার। ফের রামপুরহাট কাণ্ডে বিধানসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কররা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি থেকে ধস্তাধস্তি, জামা ছিঁড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটল। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী ঘুসি মেরে তাক নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। এদিকে শুভেন্দু’র অভিযোগ বিক্ষোভ ওরার শুরু করেছে। সাদা পোশাকের পুলিশ দিয়ে গন্ডোগোলের সূত্রপাত হয়। তার পর তৃণমূল বিধায়করা নিজে ধস্তাধস্তি থেকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ শুরু করেন। ঘটনায় পাঁচজন বিজেপি বিধায়ককে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগগা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, নরহরি মাহাতো।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটল সেটা অনভিপ্রেত। বিধানসভার নিয়মকানুন নিয়ে পড়াশোনা করেন না। বিধানসভার গুরুত্ব তাঁরা বোঝেন না। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি হবে। কীভাবে সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেটাও দেখা হবে বলে জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ‘বিধানসভার ঐতিহ্য নষ্ট করা হয়েছে। তাদের এই ধরনের কাজকে আমরা নিন্দা জানাই। আমাদের বিধায়কদের বলেছি সতর্ক থাকতে। ভিতরে ও বাইরে তারা যে ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে আমরা তার তীব্রভাবে বিরোধিতা করছি। পরিকল্পনা করে, বিধানসভায় অশান্তি ঘটানো হয়েছে। বিধানসভার মর্যাদাহানি করা হয়েছে। আমাদের দল এর মোকাবিলা করবে। বিধানসভার শেষদিন পর্যন্ত চক্রান্ত করে অশান্তি। বাংলাকে অশান্তি করাই বিজেপির লক্ষ্য।’।