আমফানের তাণ্ডবে নদিয়ায় ক্ষতিগ্ৰস্থ ৭ হাজার পরিবার, মৃত ৬
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর: বিধ্বংসী আমফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড নদিয়ার জনজীবন। জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত সাত হাজার পরিবার। সরকারি সুত্র অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ছয়। ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ জেলার বোরো ধান সহ আম, লিচু ও কলা চাষিরা। মাঠের পর মাঠ ধান কেটে চাষি, অনেক ক্ষেত্রে কাটা ধান জমিতে জড়ো করেও রাখতে পারেনি। পাকা ধান জলের তলায় হাবুডুবু খাচ্ছে। লিচু ও আম, গাছ থেকে পড়ে সব শেষ। লকডাউনের বাজার, ঝড়ে পড়া লিচু এবং আম কম দামেও বিক্রি হচ্ছেনা, ফলে বাগানের মালিকরা চরম বিপদের সম্মুখীন। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কলা চাষিরা। বাগানের অপরিণত কলা,কাঁদি সমেত জমিতে ভেঙে পড়ে আছে। করিমপুর, বেথুয়াডহরী, রামনগর, মদনপুর প্রভৃতি এলাকায় এবছর ব্যপক হারে কলার চাষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার বাঁশের ব্রিজ দিয়ে, হেলদোল নেই প্রশাসনের
গতকাল রাজ্যের বনদপ্তরের মন্ত্রী তথা তৃনমূলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে কল্যাণী বিদ্যাসাগর মঞ্চ ও কৃষ্ণনগর প্রশাসনিক ভবনে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শাসক, মহকুমা শাসক সহ রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র,বিধায়ক শংকর সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আমফান ঝড়ে মৃত পরিবার গুলির হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আড়াই লক্ষ করে টাকার চেক তুলে দেন। আমফান ঝড়ে নদীয়ায় মৃতের সংখ্যা ৬ ।