বগুলাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা প্রশাসক রত্না ঢালি-র

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস : উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন আপস নয়। বগুলার ১ নং নাগরিক শ্রীমতি রত্না ঢালি র ভাবনা, চিন্তা এবং স্বপ্ন বগুলার সার্বিক উন্নয়ন। সে মতো বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্ৰহনের মধ্যদিয়ে একাধিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা।
হাঁসখালি ব্লকের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বগুলা ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই চিন্তা ভাবনার বিকাশ।সকল নির্বাচিত সদস্য এবং -সদস্যা কে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার ব্রত গ্ৰহনের মধ্যদিয়ে কর্মাভিযান শুরু। উচ্চ শিক্ষিতা,সফল রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা গৃহবধূ থেকে আজকের জননেত্রী শ্রীমতি রত্না ঢালি, ইতিমধ্যেই নিজেকে সু প্রশাসক সহ একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম। হাঁসখালি ব্লকের ১৩ টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সরকারি কর্মসূচি রূপায়ণ সহ সার্বিক পরিষেবা প্রদানে বগুলা ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অবস্থান সর্বাগ্রে।
নদীয়া জেলা পরিষদের সদস্য তথা হাঁসখালি ব্লকের তৃনমূল কংগ্ৰেসের প্রতিষ্ঠাতা জননেতা কল্যাণ ঢালি র সহধর্মিণী শ্রীমতি রত্না ঢালি,বগুলা ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণের পর, জনপরিষেবা প্রদানে জনতার দরবারে নিজেকে সর্বতোভাবে সঁপে দিয়েছেন। তার কাজের সুবাদে দল,মত, নির্বিশেষে সকলের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যা এবং সু প্রশাসক হতে পেরেছেন তিনি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, কর্মসংস্থান,চাষ-আবাদ সহ কৃষিপণ্য উৎপাদনে বগুলার সুনাম সর্বত্র। কর্ম সংস্থানে, রাজ্যের যুবসমাজের কাছে বগুলা আজ মডেল। উন্নয়নের ধারা কে অব্যাহত রাখতে,বগুলার রাস্তাঘাট সহ জল নিকাশি ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক আলো, জঞ্জাল মুক্ত পরিবেশ সহ বহুবিধ জনহিতকর প্রকল্প এখন হাতে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত জননেত্রী শ্রীমতি রত্না ঢালি র সঙ্গে কথা হল দীর্ঘক্ষণ। তিনি জানালেন,বগুলার উন্নয়নে বাজারের যানজট একটি বড়ো সমস্যা। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। একাধিক বাইপাস রাস্তা,যার কাজ খুব দ্রুত শুরু হতে চলেছে।বগুলা কলেজ রোডে,ভারতীয় স্টেট ব্যাংক, বগুলা শাখার সন্মুখস্থ নেতাজী ক্লাবের উত্তর পাশ দিয়ে রাস্তাটিকে সোজা টেনে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে স্টেশনে গিয়ে উঠবে।
দ্বিতীয়ত ডাকবাংলো মাঠের দক্ষিণে বগুলা হাই স্কুলে ঢোকার আগে রিফুজি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণে শরৎ সরোবরের উপর দিয়ে (যেখানে বাঁশের সেতু ছিল) নতুন রাস্তা নির্মাণ হবে এবং ঐ রাস্তা বগুলা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে উঠবে। জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ ঢালি র আর্থিক সহায়তায় বগুলা রেলওয়ে স্টেশন, কেবিন ঘর সন্নিকট রাস্তা থেকে ঐ রাস্তা বগুলা পূর্বপাড়ার মধ্যদিয়ে বিল পাড়া হয়ে পন্ডিতপুরের রাস্তার সঙ্গে মিশে যাবে,যার ফলে প্রধান রাস্তা থেকে চাপ অনেকটাই কমবে।
পাশাপাশি বগুলার প্রতিটি রাস্তায় তোরণ গেট সহ স্ট্রিট লাইটে ভরিয়ে তোলা হবে। বগুলা এলাকার যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে, বিশেষ ভাবে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পঞ্চায়েতের উদ্দোগে পানীয় জলের ট্রাঙ্কি এবং জঞ্জাল সংরক্ষণ সহ প্রক্রিয়া করনের মাধ্যমে জৈবসার তৈরি জন্য বিশেষ যন্ত্রাংশ ক্রয় সহ নানাবিধ জনহিতকর কর্মসূচি পঞ্চায়েতের হাতে রয়েছে।