fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

লকডাউনের মধ্যেও থেমে নেই বালির চোরাকারবার, অজয় নদীতে নেমে মাফিয়াদের তাড়া বিডিওর

রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: দেখলে মনে হবে যেন কোনও সিনেমার শুটিং । কিছু লোক জলে। তার কিছু লোক জল থেকে উঠে পালাচ্ছে। লকডাউনের কারণে শুনশান সব এলাকা। তার সঙ্গে চলছে বর্ষার বৃষ্টি। গোটা এলাকায় তেমন কেউ নেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নদী থেকে বালি তুলে তা পাচারে করছে মাফিয়ারা। আর সেই মাফিয়াদের ধরতে অজয় নদীতে নেমে পড়লেন আসানসোলের জামুড়িয়ার বিডিও কৃষানু রায় ।

বৃষ্টিতে অজয় নদী জলে ভর্তি হলে কি হবে? বালি মাফিয়ারা কাজ বন্ধ রাখবে তা বলে ? গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে এমন ছবির মুখোমুখি হতে হলো ব্লক আধিকারিকদের। আসানসোলের জামুড়িয়া ব্লকের শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুড়ি এলাকায় অজয় নদীর প্রায় মাঝে বালি মাফিয়ারা গাড়ি নামিয়ে বালি তোলার কাজ করাচ্ছিলো। সেই সময় সেখানে চলে আসেন জামুড়িয়ার বিডিও কৃষানু রায়। তার সঙ্গে ছিলেন ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ অনিমেষ চক্রবর্তী সহ অন্য আধিকারিকরা।

সেই বালি মাফিয়াদের কাছে পৌঁছাতে আধিকারিকদেরকেও নদীর জলে নামতে হয়েছিল বলেও জানান জামুড়িয়ার ভূমি কর্মাধক্ষ্য অনিমেষ চক্রবর্তী। সেই সময় ১২টিরও বেশি ট্রাক্টর মাঝ নদীতে ছিল বলে জানান তিনি। কিন্তু তার খবর পেতেই মাফিয়ারা বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর নিয়ে পালিয়ে যায়।

অনিমেষ বাবু বলেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও তারা কোন রকমে হলেও দুটি ট্রাক্টর ধরতে পেরেছি। কিন্তু নদীর জলের সুযোগ নিয়েও বাকিগুলো পালিয়ে যায়। নদীতে এত জল থাকা সত্ত্বেও কিভাবে বালি মাফিয়ারা বালি তুলছিলো তা ভেবে রীতিমতো অবাক অনিমেষবাবুরা। এই নিয়ে জামুড়িয়ার বিডিও বলেন, আমাদের কাছে এই ধরনের খবর এলে আমরা অভিযানে যাই। বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান আগামী দিনেও চলবে। বালি তোলার জন্য নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। তাই গরমের সময় জলকষ্টে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তাই কোন অবস্থাতেই অজয় নদী থেকে মাফিয়াদের বালি তুলতে দেওয়া হবে না বলে তিনি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের এই অভিযানে এলাকার বাসিন্দারা খুশি।

Related Articles

Back to top button
Close