নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির দাগ এখনো স্পষ্ট শরীরে, ‘পরিবর্তন হবেই’, দাবি বিজেপি নেতার

অভিষেক আচার্য, কল্যাণী: ৭ দফা দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযানে রাজপথে নেমেছিলেন বিজেপি যুব মোর্চা। অভিযান সফল করতে সঙ্গ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীর মত নেতারা।
সেই অভিযান বানচাল করতে গেরুয়া শিবিরের মিছিলের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল রাজ্য পুলিশ। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের সাহায্য নেন উর্দিধারীরা। অভিযোগ, শিখ ধর্মের ভাবাবেগেও আঘাত করেছে শাসক দলের পুলিশ বাহিনী। যদিও সেই নিয়ে বিতর্কের ধোঁয়া ক্রমশ গাঢ় হয়েই চলেছে।
পাশাপাশি, সেদিন পদ্ম শিবিরের কর্মী, সমর্থক, নেতাদের ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগও উঠেছে খাঁকি পোশাকধারীদের বিরুদ্ধে। লাঠিচার্জের ছবি দেখে মনে হতেই পারে, রাজপথে হেলমেট পরে টেকনিক ছাড়াই ‘ব্যাটিং’ করতে নেমেছিলো রাজ্য পুলিশের টিম।
সেই লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকেই। নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠির মারে গুরুতর আহত হয়েছেন নদিয়ার দক্ষিণ জেলার আমন্ত্রিত সম্পাদক সব্যসাচী মুখার্জি। তিনি বলেন, ” সেদিন রাজ্য পার্টি অফিস থেকে দিলীপদার নেতৃত্বে আমরা মিছিল বের করি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিলটি এগোয়।মিছিলটিকে আটকানো হয় ঠিক হাওড়া ব্রিজ এ ওঠার পরপরই। সেখানে আমাদের কার্যকর্তারা ব্যারিকেডের সামনে সামান্যই ঠেলাঠেলি করেন। তার আগে থেকেই জলকামান দাগা শুরু করে দেয় পুলিশ।”
সব্যসাচীবাবু অভিযোগ করে বলেন, ” আমি ও বিজয় ওঝাজী একদম দিলীপদা,মেননজী, এনাদের সিকিউরিটির সাথে গোল করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে এক আই পি এস অফিসারের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ ডান্ডাধারী পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় আমাদের ওপর। বারবার বললাম এখানে দিলীপদা আছে,শুনে আরোও বেশী লাঠিচার্জ করতে থাকে রাজ্য পুলিশ।”
সেই লাঠির আঘাতে কান কেটে যায় সব্যসাচীবাবুর। ঘাড়ে, হাতে স্পষ্ট লাঠির দাগ। তিনি বলেন, ” সব হিসেব তোলা রইলো। এর প্রতিবাদ ও ব্যবস্থা দুই নেওয়া হবে ২০২১শে”।