টিকটকের বিকল্প অ্যাপস বানিয়ে তাক লাগাল ১৭-এর যুবক

মেদিনীপুর : মাত্র ২৪ ঘন্টা আগেই টিকটক সহ প্রায় ৬০ টি চিনা অ্যাপসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর মঙ্গলবারই টিকটকের সমান্তরাল অ্যাপস ‘ইনোসেন্স’ লঞ্চ করে তাক লাগিয়ে দিলেন মেদিনীপুরের ১৭ বছরের ছাত্র প্রিয়াংশু সিং। তার দাবি এই অ্যাপস টিকটকের তুলনায় অনেক বেশী নিরাপদ। যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে। এদিন ভার্চুয়াল সভার মধ্য দিয়ে কলকাতায় বসে সাংসদ দিলীপ ঘোষ প্রিয়াংশুর তৈরি ওই অ্যাপসের উদ্বোধন করেন।
মেদিনীপুরের এক বেসরকারী স্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র প্রিয়াংশু। বাড়ি তাঁতিগেড়িয়ায়। বাবা কুমার রাজীব রঞ্জনের রেডিমেড কাপড়ের দোকান আছে। মা রিঙ্কি সিং গৃহবধু। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান বলেছেন, লকডাউনের সময় ঘরে বসে থাকা অবস্থাতেই কিছু একটা করার ভাবনা ঢোকে তার মাথায়। ঘরে বসে সময় নষ্ট না করে দেশের জন্য কিছু একটা করার ভাবনা চলছিল তার মধ্যে। ইন্টারনেট ঘেঁটে নানানরকম চর্চা করার পর তিনি নিজে নতুন ওই অ্যাপস তৈরি করেন। অবশ্য আগে থেকেই তার নেটজগত নিয়ে প্রচুর আগ্রহ ছিল। গত নভেম্বরে আইআইটিতে দুদিনের সাইবার সিকিউরিটি ওয়ার্কশপে যোগ দিয়ে অনেককিছু জানতে পেরেছিলেন তিনি। সেখান থেকে সাইবার অ্যাটাক রোখার অনেক কৌশলও রপ্ত করেছিলেন তিনি। সেই সব কৌশলই প্রয়োগ করেছেন নিজের ইনোসেন্স অ্যাপসে।
এখন গুগল ইঞ্জিনে সার্চ করলে ওই অ্যাপসটি পাওয়া যাবে। পাওয়া যাচ্ছে ইনোসেন্সের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজেও। খুব শীঘ্রই মোবাইলের প্লে স্টোরেও তা পাওয়া যাবে। প্রিয়াংশুর কথায়, অল ইন ওয়ান সাইবার টিম প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও শিবম সিং তাকে অনেক সাহায্য করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে তার ওই অ্যাপস তৈরিতে। আপাতত ব্যবসার কথা ভাবছেন না তিনি। তার টার্গেট ইউজার্স সন্তুষ্টি। তিনি চান আগামী দিনে তার তৈরি এই অ্যাপস যেন মেড ইন ইণ্ডিয়া হিসেবে সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলুক। যেখানে সবাই বলতে পারে ভারতের তৈরি জিনিষও বিশ্বকে কাঁপাতে পারে। ছেলের এই আবিষ্কারে খুশী তার বাবা রাজীববাবুও। তিনি বলেছেন, ছেলে প্রায় সবসময়ই ল্যাপটপ ও মোবাইল নিয়ে বসে থাকত। গত নভেম্বরে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির পরিক্ষাতেও ২০০ র্যাঙ্ক করেছে সে। দেশের জন্য ছেলে কিছু করতে পারলেই তার গর্ব হবে।