যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সংঘাতের আশঙ্কা,কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি বিরুদ্ধে সরব হল পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার দুপুরে বেহালায় রাখিবন্ধন উত্সবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের আপত্তির কথা জানিয়ে এ বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি ছয় সদস্যের কমিটিও গঠন করার কথা জানান। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের আপত্তি উপেক্ষা করে, কোনওরকম আলোচনা না করেই নতুন নীতি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কাঙ্খিত ছিল না।
পার্থ বলেন, ”নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। আমরা লিখিত আকারে জানিয়েছিলাম। শিক্ষানীতি চালু করতে গেলে আগে অনেক কিছু করতে হবে। পাঁচ বছরে এই শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব নয়। পড়াশোনার কোনও নিয়ম নীতি পরিবর্তন হল না, আলাপ-আলোচনা হল না। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে খরচ হবে, তা বহন করবে কারা? হঠাত্ করে এই ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা যায় না। সব প্রশ্নের সহজ উত্তর চাই। তবেই সব কিছু করা সম্ভব।”
সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রীর তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরি, নৃসিংপ্রসাদ ভাদুড়ি। রয়েছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। এঁরা আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে নতুন শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে শিক্ষাদফতরে রিপোর্ট পেশ করবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর কেন্দ্রের কাছে ফের চিঠি পাঠিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানাতে পারে বলে খবর। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, আসলে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হলে এ রাজ্যে পরিকাঠামোগত কী কী সমস্যা হতে পারে, তা নিয়েই বিশ্লেষণ করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগের গুজব উড়িয়ে হুঙ্কার, দিলীপ ঘোষ একাই পারবে রাজ্যে পরিবর্তন আনতে
উল্লেখ্য, মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতায় এদিন সরব হয়েছে তামিলনাড়ুও। তবে দ্রাবিড়ভূমের মূল আপত্তি ‘হিন্দি আগ্রাসনে’র বিরুদ্ধে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানীস্বামী আজ সকালে জানিয়ে দিয়েছেন, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে ‘তিন ভাষা ফর্মুলা’র কথা বলা হয়েছে, তা মেনে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। তাঁর কথায়, ”তিন ভাষার এই ফর্মুলা দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। প্রয়াত আন্নাদুরাই, এম জি রামচন্দ্রন এবং জয়ললিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানাব।”