
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: কলকাতায় বাজারগুলিতে নজরদারি চালাতে কলকাতা পুরসভা এবং পুলিশের সমন্বয়ে বিশেষ টিম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এই দলের সদস্যরা কেবল শহরের বাজারগুলোতেই নজরদারি চালাবে। একই সঙ্গে সচেতনতার প্রচার করবে এবং প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেবে।
এই মুহুর্তে করোনা সংক্রমণ প্রশাসনের মাথা ব্যথার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই করোনার উত্পত্তি স্থল শহরের বাজারগুলি। প্রথমে পুরসভার সমীক্ষা রিপোর্টে শহরের বহুতল আবাসনগুলিতেই করোনা র বাড়বাড়ন্ত নজরে আসলেও পরে আরও গভীরে সমীক্ষা করে দেখা যায় বাজারগুলো থেকেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। এরপরে বাজারগুলিতে নিয়মিত নজরদারির পাশাপাশি শুরু হয় লালা রসের নমুনা পরীক্ষা। তারপরেও কোনওভাবেই সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আবাসন গুলিতে নজর রাখার জন্য যেমন বিশেষ দল রয়েছে, ঠিক তেমনই এবার বাজারের উপর নজরদারি চালাতেও তৈরি হবে বিশেষ দল।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শই বাজারগুলিতে প্রচার করছে পুরসভা। বাজারে নিয়মিত না এসে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা সহ করোনার ক্ষেত্রে কী করণীয়, সেটাই প্রচারে বোঝানো হচ্ছে।আমরা আশঙ্কা করছি বাজারগুলি থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই, যেভাবে আবাসনে নজরদারির জন্য বিশেষ দল রয়েছে, তেমনি বাজারগুলিতে নজরদারির জন্য লালবাজার এবং পুরসভার যৌথ সমন্বয়ে বিশেষ টিম বানানো হবে।”
এদিকে পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকাতেই প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। নিউ মার্কেট, মানিকতলা বাজার, খিদিরপুর বাজার, আশুবাবুর বাজার, যদুবাবুর বাজারগুলিতে যথেচ্ছ ভিড় হচ্ছে। পুরসভার আশঙ্কা, এখন যে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে তা মূলত বাজারগুলি থেকেই গোষ্ঠী সংক্রমণের ফল। মূলত, দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকা, উত্তরের কাঁকুড়গাছি, ফুলবাগান, মানিকতলা, উল্টোডাঙ্গা সহ কিছু এলাকায় নিত্যনৈমিত্তিক সংক্রমণের খোঁজ মিলছে। বাজারে নিয়মিত মাইকিং, পোস্টার লাগানোর কাজ চলছে।