যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বয়েস লকার রুমে’ অশ্লীল চ্যাটের নেপথ্যে এক কিশোরী! এমনটাই জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। সহপাঠিনীদের গণধর্ষন থেকে শুরু করে তাদের অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে তা নিয়ে এই গ্রুপ চ্যাট করতো অভিযুক্ত ছাত্রেরা। কিন্তু এবার এই ঘটনায় উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এক নতুন মোড়ও খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল জানাচ্ছে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে এক কিশোরীর হাত।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ‘বয়েস লকার রুমে’ দিল্লির বেশ কিছু অভিজাত স্কুলের ছাত্রদের অশ্লীল চ্যাট ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে নেট দুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামের ওই গ্রুপের অন্দরের খবর বাইরে চলে আসায় ধিক্কার জানাতে থাকেন সমাজের একা বড় অংশ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও ওঠে।
আরও পড়ুন: ১৭ মে লকডাউন শেষ হওয়ার পর বাছাইকৃত কয়েকটি রুটে চালু হতে পারে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা
দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলর মতে, জনৈক ওই কিশোরী এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরের পরিচয়ে একটি জাল স্ন্যাপচ্যাট প্রোফাইল খোলে। সেখানেই আর একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরের সঙ্গে নিজেকেই যৌন হেনস্থা করা নিয়ে আলোচনা করে সে। ফেক প্রোফাইলে ওই কিশোরী নিজের নাম রেখেছিল সিদ্ধার্থ। সেখানেই সে নিজের সম্পর্কে একটি আপত্তিকর পোস্ট করে বলে অভিযোগ। তারপর অন্যান্য সদস্যরাও এই ব্যাপারে নিজেদের মতামত দিতে থাকে।
বর্তমানে দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে তারা দেখতে পান ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের কথোপকথনে ‘গণ-ধর্ষণ’ সম্পর্কে মন্তব্যটি নাকি মোটেই ইনস্টাগ্রাম চ্যাটরুমে করা হয়নি। পুলিশের মতে, ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া জানতেই একটি ছেলের নামে ফেক আইডি খুলে ওই মন্তব্য করেছেন এক কিশোরী। সূত্রের খবর, যে মেয়েটি ওই কাজ করেছে সে আসলে ওই ‘বয়েস লকার রুমের’ সদস্যই নয়।