fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বোমা ও গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা

কৌশিক অধিকারী, কান্দি: বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত জিবন্তী হল্ট ষ্টেশনে কান্দি ব্লকের মহালন্দী দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য রাজা সেখ (৪০) বোমা ও গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা।

তিনি মহালন্দী দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলা গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। বাড়ি মহালন্দী দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ধল্লা গ্রামে। যদিও তৃণমূল ব্লকের অভিযোগ কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা এই বোমা ও গুলি করে খুন করেছে। পরিবারের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরে এই খুন

এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে অন্যান্য দিনের মতো জিবন্তি হল্ট ষ্টেশনে চায়ের দোকানে বসেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য রাজা সেখ। তখন তাকে খুব কাছ থেকেই পর পর চারটি বোমা মারা হয়, বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। গুরুতর জখম অবস্থায় জিবন্তি হল্ট ষ্টেশনে মধ্যেই তাকে গুলি করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর ও কান্দি থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । কি কারনে এই খুন, নাকি খুনের পিছনে রাজনৈতিক কোন চক্রান্ত রয়েছে তাও ক্ষতিয়ে দেখছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসন।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুখচাঁদ সেখ, লতিভ সেখ, রাজিব সেখ ও ইমামুল সেখ। ইমামুল সেখ জিবন্তি হল্ট ষ্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে দখলদারী ছিল, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হবার পর এলাকা দখল করে রাজা সেখ। রাজা সেখ কে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপরেই তাকে খুন করে বলে অভিযোগ।

এই খুনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ফাঁসি হোক, যারা খুন করেছে পুলিশ জানে কারা এই ঘটনায় জড়িত। অবিলম্বে পুলিশ গ্রেফতার করে ফাঁসি দিক।

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, জিবন্তি হল্ট ষ্টেশনে কাছে পঞ্চায়েত সদস্য কে কাছ থেকেই গুলি করে খুন করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম সরকার জানান, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরে এই খুন নয়, রাজনৈতিক কারণে কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য রাজা সেখ কে বোমা ও গুলি করে খুন করেছে। পুলিশ কাছে দাবি রাখব নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করুক ।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী বলেছেন, মুর্শিদাবাদে যারা তৃণমূলের কর্মী ও নেতা খুন হন সেই ঘটনার সাথে কংগ্রেস কর্মীদের ফাসিয়ে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলায়। খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে আর তা ধামা চাপা দিতেই কংগ্রেসের উপর দোষারোপ করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী।

Related Articles

Back to top button
Close