মালদায় ভেসেল ডুবির ঘটনায় উদ্ধার মোট দুজনের দেহ, নিখোঁজ আরও এক লরির চালক

মিল্টন পাল, মালদা: ভেসেল ডুবির ঘটনায় আরও এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার হল।সেইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে আরও ২টি লরি। মোট উদ্ধার হয়েছে তিনটি লরি। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দুটি মৃতদেহ উদ্ধার। এখনো চলছে উদ্ধার কার্য। রয়েছে এন ডি আর এফ ও রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা। ঘটনাটি ঘটেছিল সোমবার রাতে মালদার মানিকচক থানার গঙ্গার ঘাটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মৃতের নাম তারাচাঁদ যাদব( ৫৯)। তিনি লঞ্চের টেকনিশিয়ান কর্মী ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গঙ্গার জলে তারাচাঁদ যাদবের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। এখনও পর্যন্ত ডুবে যাওয়া আটটি লরির মধ্যে দুটি লরি উদ্ধার করা হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত একজন লরির চালক নিখোঁজ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত ১০টি লরি ও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে রাজমহল ঘাট থেকে মালদার মানিকচক ঘাটে লঞ্চটি আসে।এরপর একটি লরি পার হতেই হঠাৎ লঞ্চটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায় আটটি লরি। ভেসে যায় লঞ্চে থাকা যাত্রীরা। ওই দিন রাতেই বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। প্রশাসনের কাছে খবর ছিল তিন জন নিখোঁজ রয়েছে। যাদের নাম মন্টু সেখ (৩৪),ময়না শেখ(৪০) তারক কুমার যাদব(৬০)। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার তারা চাঁদ যাদবের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।যদিও ঘটনার চারদিন পার হলেও এখনো প্রশাসনের মতে দুইজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখনও পর্যন্ত এনডিআর এফ উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে।নামানো হয়েছে ডুবুরি। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যের তদারকি করছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
উত্তর মালদার সংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনা। প্রশাসন সূত্রে তিনজন নিখোঁজের কথা বলা হলেও যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে আমাদের মনে হয় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দিচ্ছে। ঘটনায় দুই পাড়ে কোনও নথি পাওয়া যায়নি।এর থেকে বোঝা যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ঘাটের দায়িত্ব নিলেও নিয়ম মেনে কাজ করা হয় না। আর যার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। আইন মেনে পারাপারের কাজ করা হোক’।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। জেলা প্রশাসন উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ও দুটি লরি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।