fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

বধূকে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত স্বামী ও শ্বশুর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: গৃহ বধূকে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দেবার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে । মৃতার নাম পম্পা পাল (২৮)। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার উত্তরশুড়া গ্রামে। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার বধূর মৃতদেহ পাঠানো হয় বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে ।

বধূর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে
এদিনই জামালপুর থানার পুলিশ বধূর স্বামী বিশ্বজিৎ পাল ও শ্বশুর সুধাচন্দ্র পালকে আটক করেছে । পুলিশ বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে ।মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বধূর বাবা ।

পুলিশ জানিয়েছে ,হুগলী জেলার পাণ্ডুয়া থানার দাবড়া এলাকায় বধূ পম্পা পালের বাবার বাড়ি।বছর তিনেক আগে জামালপুরের উত্তরশুড়া গ্রাম নিবাসী সুধাচন্দ্র পালের পুত্র বিশ্বজিৎতের সঙ্গে পম্পার বিয়ে হয় ।এই দম্পতির এক বছর বয়সী একঠি পুত্র সন্তান রয়েছে। সোমবার রাতে শ্বশুর বাড়ির ঘরথেকে বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ।

 

বধূর বাবার অভিযোগ তাঁর মেয়েকে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । তার ভিত্তিতে স্বামী ও শ্বশুরকে পাকড়াও করে বধূর মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে ।

বধূর বাবা অভয়পদ পাল লিখিত অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন , বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ে পম্পার সঙ্গে অশান্তি করতো জামাই বিশ্বজিৎ,শ্বশুর সুধাচন্দ্র পাল সহ  শ্বশুর বাড়ির অন্য সদস্যরা। উত্তরশুড়ার বাড়িতে এসে সেই অশান্তিতে মদত যোগাতো মেয়ের বড় ননদ সিদ্ধেশ্বরী পাল ,পিসি শাশুড়ি নিত্যবালা পাল ও তাদের স্বামী এবং পুত্ররা । অভয়পদ বাবু বলেন ,এরা সকলে মিলে শ্বশুর বাড়িতে পম্পার উপর অত্যাচার চালাতো ।

 

তারা গত দু’দিন ধরে পম্পার উপর অত্যাচার চালিয়েছে ।অভয়পদ বাবুর অভিযোগ ,জামাই ও তাঁর পরিবারের সকলে মিলে এরপর ষড়যন্ত্র করে সোমবার রাতে পম্পাকে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সকলের শাস্তির দাবি তিনি পুলিশের কাছে রেখেছেন ।

 

Related Articles

Back to top button
Close