‘কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে যুক্ত অভিষেক ব্যানার্জী, একজন চোর’, চায় পে চর্চা’য় সৌমিত্র খাঁ

দেবাশিস বিশ্বাস, কোচবিহার: “কয়লা মাফিয়া সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরির নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন, তিনি একজন চোর ডাকাতের থেকে কম কিছু নয়।” কোচবিহারে প্রাতঃভ্রমণে এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রযোজনে আমার নামে মামলা করতে পারেন, আমি যা বলছি জেনেই বলছি।
একইসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ এর চ্যালেঞ্জ মাথা পেতে নিল কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।তিনি বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে সৌমিত্র খাঁ এর বিরুদ্ধে কোচবিহার কোতোয়ালি থানাসহ জেলার প্রতিটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।তাহলে আমরা আইনি পদক্ষেপ এই তার জবাব দেবো। একদিন তিনি নিজেই তৃণমূল কংগ্রেসের ছিলেন। আজ বিজেপিতে এসে তৃণমূলের কুৎসা রটনায় লজ্জা লাগা উচিত।
প্রাতঃভ্রমণ সেইসঙ্গে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সাধারন মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করা, বিষয় যাই হোক না কেন এই পদ্ধতি বিজেপির জনসংযোগ কর্মসূচিকে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারে ঠিক একই পদ্ধতিতে গণসংযোগ কর্মসুচী পালন করল বিজেপি সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।কোচবিহারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে এসে এদিন সকাল সকাল প্রাতঃভ্রমণে সাগরদিঘী পরে বের হন তিনি। কথা বলেন সাধারণ মানুষদের সাথে।সাধারণ মানুষ ঠিক কতটা অস্বস্তিতে রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানান সৌমিত্রবাবু। সাগর দিঘীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী প্যাটন ট্যাংকের সামনে বসে চাহাতে আড্ডা মারেন অনেকক্ষণ।
বলেন, ইতিমধ্যেই কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের ধ্বস নেমেছে। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার জেলায় কোনও উচ্চস্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা থাকবে না। স্বচ্ছ নিষ্ঠাবান নেতারা সবাই এই চোর দলের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির শরণাপন্ন হবেন। ইতিমধ্যেই অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। যুবশক্তি সবথেকে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠবে বিজেপির।এই যুবশক্তিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি এবং আভ্যন্তরীণ আলোচনা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। অনলাইনের মাধ্যমে যুব মোর্চার সঙ্গে প্রচুর যুব ভাই-বোনেরা ইতিমধ্যেই তাদের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন।তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে যুব বৈঠক করা যায় কিনা সেই বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে।