ধবংসলীলায় মেতেছে প্রকৃতি…অসমে হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ লক্ষ মানুষ
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একের পর এক আসছে বিপর্যয় কোথাও দাবানল তো কোথায় আমফান তো কোথাও পঙ্গপালের হানা তো কোথাও হড়পা বান। প্রকৃতি তার একের পর এক বিধ্বংসী রূপ দেখিয়ে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ সেই অবস্থার শিকার হচ্ছে।
অসমে হড়পা বানে বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। একটানা সাগরের জলীয় বাষ্পও ঢুকছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ে। আর তার জেরেই সাত জেলা অর্থাৎ লখিমপুর, তিনসুকিয়া, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, দারাং, নলবাড়ি এবং গোয়ালপাড়ার দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২২০টিরও বেশি গ্রাম বিপর্যস্ত, ৫৭৯ হেক্টর শস্যক্ষেত্র জলের তলায়।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে গোয়ালপাড়া।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের হিসাব অনুযায়ী, বন্যার জেরে ওই জেলার ১ লক্ষ ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত। আপাতত ৩৩টি ত্রাণ শিবিরে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় জল কমিশন। অসমে ব্রহ্মপুত্র নদ লাগোয়া শোনিতপুর ও জোরহাট জেলার নিয়ামাতি ঘাট এবং জিয়াভারালিতে বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে।
সোমবারই ফি-ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর ২ সেন্টিমিটার করে বেড়েছে বলে জানায় কমিশন। আরও কিছু নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পরে জানা যায়, অসমজুড়েই তীব্র বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অসম ও মেঘালয়ের কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, ‘আম্ফান’ শক্তি হারিয়ে অসমের কাছে পৌঁছনো ও বঙ্গোপসাগর থেকে আসা আর্দ্র দখিনা-পশ্চিমি যৌথ সংযোগেই এই বৃষ্টি। তবে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক আধিকারিক জানান, এই বৃষ্টিতে জলস্তর বাড়লেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বের হবে এমন ভাবার কারণ নেই।