কলকাতাশিক্ষা-কর্মজীবনহেডলাইন
স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নিয়ে ফের সংঘাতে লিপ্ত রাজ্য-রাজ্যপাল

অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: স্নাতক-স্নাতকোত্তর এর পরীক্ষা নিয়ে ফের সংঘাত। যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই সংঘাত বাংলার শিক্ষাসুচির পাঠক্রম হয়ে উঠেছে। রবিবার কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরীক্ষার মূল্যায়ন ও মুখ্যমন্ত্রীর ভুমিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমালোচনা করেন ধনকর। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে না ঘুরতে পালটা কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রথমে রাজ্যপাল বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থই সর্বোচ্চ। আপনাদের উদ্বেগ সারাক্ষণ মাথায় রয়েছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্ট, ৩০ জুলাই দিল্লি হাই কোর্ট এবং ৩১ জুলাই বোম্বে হাই কোর্টে মামলা উঠবে।’
এরপরেই অপর এক টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রাজ্যপাল বলেন, ‘উপাচার্যদের ঢাল হিসাবে না দাঁড়িয়ে এদিকে দৃষ্টি দিন। উপাচার্যদের কাজকর্মের উপর নজর রাখা হচ্ছে।’
রাতে তার পালটা দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখলেন, ধন্যবাদ মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়। পুরানো কাসুন্দি কেন? পুরনো কাসুন্দি ঘাটছেন কী কারণে? ইউজিসি তো নিজেই ৬ তারিখের বিবৃতি বাতিল করতে পারত। কোর্টের অপেক্ষা কেন? রাজ্যের সার্বিক কল্যাণে মন দিন। বাংলার ছাত্র সমাজের ভবিষ্যতকে ঢাল করবেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে ইউজিসি সাড়া দিক।’
সংঘাতের সূত্রপাত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নয়া নির্দেশিকা নিয়ে। যেখানে এই করোনা আবহে বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সঠিক মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বাধিকার প্রয়োগ করে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে ৮০-২০ পদ্ধতিতে পরীক্ষার মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। ৮০ শতাংশ নম্বর বিগত সেমিস্টারের প্রাপ্ত সর্ববচ্চ নম্বর থেকে এবং ২০ শতাংশ নম্বর ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট থেকে দেওয়া হবে। কারণ করোনার আবহে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। পরিকাঠামো গত কারণে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তারপরেই বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এই নির্দেশিকা রাজ্যের উদ্বেগ বাড়ায়। সে সময়ে রাজ্যপাল এই সমস্যার সমাধানের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়ে ছিলেন।