বকেয়া প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা , এখনও প্রাপ্য পাননি আসানসোলের মিনিবাস মালিকরা
শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে লোকসভার ভোট হওয়ার। সেই ভোটে সরকারিভাবে ভোটের কাজে ব্যবহারের জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার ২৩০টি মিনিবাস নেওয়া হয়েছিল। আজ পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিবহন দফতর বা জেলা প্রশাসন বাস মালিকদের তাদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেয়নি বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাস মালিকদের সংগঠন আসানসোল মিনিবাস
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আবারো পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হল।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় এদিন বলেন, গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে লোকসভা ভোট হয়। সেই সময় ভোটের কাজের জন্য আসানসোল মহকুমার ২৩০টি মিনিবাস পশ্চিম বর্ধমান জেলার পরিবহন দফতর নিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে বাস মালিকদের প্রাপ্য সরকারি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। তারপর থেকে আমরা বহুবার জেলা প্রশাসন ও পরিবহন দপ্তরের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছি। চিঠি লিখেছি। তাতেও সেই টাকা আমরা আজও পাইনি। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লক ডাউন ৬০ দিন বা প্রায় দুমাস হতে চললো। বাস চলছে না। এই অবস্থায় বাস কর্মী থেকে বাস মালিক সবাই চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে আছেন।
বাস না চলায় বাসের সবকর্মীদের এখনো পর্যন্ত তাদের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকেরই বেতন বকেয়া হয়ে গেছে। বাসে বদলি হিসাবে যারা কাজ করেন, তেমন শতাধিক কর্মীকে বেতন দেওয়া যায়নি। আমাদের প্রাপ্য রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। এই সময় সেই টাকা পেলে, অন্ততঃ মালিক ও কর্মীরা এই আর্থিক দুর্দশার হাত থেকে বেঁচে যেতে পারবে। তাই আমরা আবার জেলাশাসককে সেই টাকার জন্য চিঠি দিলাম।
সুদীপবাবু আরও বলেন, আশ্চর্যের কথা হলে এই রাজ্যেরই বাঁকুড়া ,বীরভূম, পুরুলিয়া জেলা ও ঝাড়খন্ড সরকার গত বছরের সেই লোকসভা ভোটের সময় আমাদের বাস নিয়েছিলো। তারা সকলেই কিন্তু টাকা মিটিয়ে দিয়েছে। কেবলমাত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আমাদের ১৫ লক্ষ টাকা আটকে রেখেছে। কি কারণে তা জানি না।
এই বিষয়ে জেলা পরিবহন দফতরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রশান্ত মন্ডল বলেন, আমি বিষয়টা নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। টাকা পাওয়ার বিষয়টা অন প্রসেস বা সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আশা করছি শীঘ্রই বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দিতে পারব।
অন্যদিকে, এই লকডাউনের মধ্যেই আসানসোলে মিনিবাসের বেশ কিছু কর্মী ও বদলির কাজ করা কর্মীরা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় মজুরি বা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।