কলকাতাগুরুত্বপূর্ণহেডলাইন
ভাঙা খুলি নিয়ে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে সদ্য পিতৃহারা পর্ণশ্রীর শিশুকন্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিজের জীবন দিয়ে নিজের ভুলের মাশুল দিয়ে মারা গিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্মী বাবা সুভাষচন্দ্র পাণ্ডা। কিন্তু তার ছোট্ট শিশু কন্যার প্রাণ বেঁচে গেলেও এখনো তার অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক, এমনটাই বলছে হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, ছোট্ট পালক্ষিির মাথার খুলি ভেঙে গিয়ে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে, যা এখনো বাড়ি করা সম্ভব হয়নি। সারাক্ষণই মেয়ের পাশে রয়েছেন মা উপাসনা পান্ডা। শিশুকন্যা পালক্ষির মাথায় বড় ধরনের আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে তার ঘাড়, পিঠ ও ডান পায়ে চোট রয়েছে। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে তার চিকিৎসা চলছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার বেহালার পর্ণশ্রীর বিশালক্ষীতলায় ছাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে লোফালুফি খেলছিলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্মী বাবা সুভাষচন্দ্র পাণ্ডা। তখনই শিশু কন্যা হাত ফসকে নিচে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান বাবা। তবে পড়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকে হাত দিয়ে ঠেলে পাঁচিলের দিকে সরিয়ে দেন তিনি। সোজা নিচে এসে পড়ায় মাথা থেঁতলে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। শিশুটি চার তলার ছাদ থেকে একটি পেয়ারা গাছের উপরে গিয়ে পড়ে। গাছ থেকে সে পড়ে যায় পাশের বাড়ির উঠোনে। সেই কারণে প্রাণে বেঁচে গেলেও তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
এদিকে শনিবার যে এই দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে দেওয়া হয়নি বড় ছেলে অর্ণবকে। রবিবার রাতে পুরী ও ভুবনেশ্বর থেকে সুভাষচন্দ্র পাণ্ডা ও তাঁর স্ত্রী উপাসনা পাণ্ডার বাড়ির লোকেরা কলকাতায় আসেন। তাঁরাই ১২ বছরের ছেলেটিকে বাবার শেষকৃত্যর জন্য নিয়ে যান। সুভাষবাবু-উপাসনাদেবীর প্রথম সন্তান অর্নবের প্রায় দশ বছর পরে পালোক্ষীর জন্ম হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের যথেষ্ট আদরের ছিল এই সন্তান। তাই সকলেই চাইছেন শিশুকন্যা যেন প্রাণে বেঁচে যায়। বাবার অন্তোষ্টি হওয়ার পর তার মন পাল্টানোর জন্য মামারা তাকে ওড়িশা নিয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছেে। শিশুকন্যা সেরে উঠলে এবং সবকিছুু ঠিকঠাক হয়ে গেলে ফের তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।