শুভেন্দুর মন্ত্রীত্ব ছাড়াও পর খেজুরিতে দখল ৬ টি তৃণমূল কার্যালয়, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

মিলন পণ্ডা ,পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করার পর সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের ৬ টি দলীয় পার্টি অফিস দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতা আসার পেছনের খেজুরি ও নন্দীগ্রাম ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ফের দশ বছরের পুরনো ইতিহাস প্রত্যাবর্তন হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে। তৃণমূলের দলীয় পাটি অফিস দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে তৃনমূল কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্বরা। শুধু তাই নয় পার্টি অফিস দখল করে বিজেপি দলীয় পতাকা লাগানো পাশাপাশি ও ভাঙচুর চালায় বিজেপি বলে তৃণমূলের অভিযোগ।অবশেষে তৃনমূল কর্মী সর্মথককে বুঝিয়ে রাস্তা অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। শুক্রবার নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী তার পরিবহন ও সেচ মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আর সেই পদত্যাগ পত্র রাজ্যপাল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ই-মেল মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।
জানাগেছে, শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী তার পরিবহন ও সেচ মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এদিন সন্ধ্যা থেকে বিজেপি দলীয় কর্মীদের উল্লাস চোখে পড়ার মতন ছিল। রাতেই এলাকায় বাজী ফাটিয়ে উল্লাস করেন বিজেপি কর্মীরা। রাতেই অন্ধকারে খেজুরি বীরবন্দ, পাটনা সহ ৬ টি তৃণমূল দলীয় পাটি অফিস ভাঙচুর করে ও দখল করে নেয় বিজেপি কর্মীরা। শনিবার সকালে এসে তৃণমূল কর্মীরা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পুলিশকে জানিয়েও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এর প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা খেজুরি -বোগা রাস্তায় মিঁয়া মোড় এর কাছে প্রায় দেড় ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পুলিশ এসে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: জলকামান বন্ধ করায় কৃষক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ হরিয়ানা পুলিশের
খেজুরি বীরবন্দ অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি সেক নরসেদ আলি বলেন লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এলাকার বিজেপি কর্মীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার মন্ত্রিত্ব পদ থেকে পদত্যাগ দেওয়ার পর এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছিল। রাতেই এলাকায় বাজি ফাটানো শুরু করে। রাতের অন্ধকারে আমাদের ৬ টি পার্টি অফিস দখল করে নেয় ও ভাঙচুর চালায় এবং বিজেপির দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। উওেজিত কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।
যদিও পুরোপুরি অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলাই বলেন এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাই। ভারতীয় জনতা পার্টি দখলদারির রাজনীতি করে না। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোন যুক্ত নয়। তৃনমূল গোষ্ঠী কারনে এমন ঘটনা। তাপসবাবু আরও বলেন খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। সরকার ক্ষমতায় থেকেও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। যদিও এই ঘটনায় খেজুরি থানা পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।