প্রতিহিংসার রাজনীতি করে কংগ্রেসকে শেষ করতে চাইছে তৃণমূল: অধীর

অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করে কংগ্রেসকে শেষ করতে চাইছে। অভিযোগ করলেন সংসদীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সরাসরি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন। অধির বলেন, ‘পার্টি অফিসে আগুন দিয়ে কংগ্রেসকে শেষ করতে চাইছে। কারণ প্রতিদিন তৃণমূলের কর্মীরা কংগ্রেসে এসে যোগ দিচ্ছেন। আসলে তৃণমূল ভাঙছে। কংগ্রেস শক্তিশালী হচ্ছে। তৃণমূলের পছন্দ নয়। তাই আগুন লাগানো হয়েছে।’
গতকাল রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের পাচথুপিতে কংগ্রেসের কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের বিরুদ্ধে। এদিন সেই কার্যালয়ে আসেন বহরমপুর এর সংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বড়ঞা থানার পুলিশ কার্যালয় সিল করে দেওয়া প্রসঙ্গে এদিন অধীর বাবু বলেন, ‘পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দোষীরা ধরা পড়তো। কিন্তু এখানে তদন্তের নামে কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটা ছোট্ট পার্টি অফিস কংগ্রেসের। কিছু লোক এসে এখানে বসে। সেই ঘর কে পড়াতে পারে? কার এত সাহস আছে? এটা বোঝার জন্য কোন বৈজ্ঞানিক হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু পুলিশ এটা তদন্তের জন্য ফরেনসিকে পাঠিয়েছে। মশা মারতে কামান দাগছে। ঘর পোড়ানোর জন্য ফরেনসিক ডাকছে ভাগ্যিস সিবিআই এনআইএ বা কোনও ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন টিম ডাকতে পারত। তৃণমূল এইভাবে কংগ্রেস কে আটকাতে পারবে না। প্রয়োজন হলে কংগ্রেস গাছ তলায় বসে সংগঠন করবে। মানুষের মনে মনে সংগঠন করবে তার জন্য কোন ঘরের প্রয়োজন হবে না।’
এদিন অধীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তৃণমূলের পার্টির মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট। নিজেদের মধ্যে প্রতিনিয়ত অন্তর্দ্বন্দ চলছে। নিজেদের ঘর জ্বলছে সেদিকে নজর দিন। কারণ তৃণমূলে আগুন নেভানোর লোক নেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আপনি বাংলার পুলিশকে এত সম্মান করছেন। তা শুধু ভোট আসছে বলে। আপনি যদি সত্যি নিরপেক্ষ হয়ে থাকেন তবে পুলিশকে ক্ষমতা দিন।’পাশাপাশি তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না তদন্তের কিনারা হচ্ছে আন্দোলন লাগাতার চলবে।’