স্বাভাবিক গতিবিধির উপর প্রশাসনিক বাধা, চরম হেনস্থার শিকার সাংসদ জগন্নাথ সরকার

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস : জনজীবনে স্বাভাবিক গতিবিধির উপর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও পুলিশি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, ঘটনায় চরম হেনস্থার শিকার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
শুধু মাত্র বিজেপি করার অপরাধে তার উপর এই অন্যায় আচরণ বলে অভিযোগ সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। তার আক্ষেপ,মানুষ আমাকে ভোটে জিতিয়েছে, আমি এলাকার জন প্রতিনিধি, আমার পবিত্র দায়িত্ব এবং কর্তব্য আপদে বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো।আমি সেই কাজটাই করবার চেষ্টা করে চলেছি। সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে সেবা ধর্ম পালনের ব্রত নিয়ে, করোনা-আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্ধস্ত পরিবারগুলির পাশে থেকে ত্রাণ সামগ্রী সহ সার্বিক পরিষেবা প্রদানে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। সঙ্কীর্ণ রাজনীতি নয়, আমি অসহায় মানুষজনদের জন্য কাজ করতে চাই। আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে জনসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবার জঘন্য চক্রান্ত চলছে, আমার গতিবিধির উপর নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে আমার উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডের ধারাকে স্তব্ধ করা যাবে না, অত্যন্ত আবেগ প্রবন হয়ে অভিমানী সুরে কথাগুলি বলছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
সপ্তাহব্যাপী এই চিত্রনাট্যে জেলা প্রশাসন একাধিক ভাবে নানা অছিলায় সাংসদকে সাময়িক বিরম্বনায় ফেললেও ঘোষিত যোগদান কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে পারেন নি জগন্নাথ বাবু কে।হিতে বিপরীত অর্থাৎ ঘটনায় আখেড়ে লাভ ই কিন্তু হয়েছে, জগন্নাথ বাবু র। প্রবাহমান জনজীবনে সাময়িক বিড়ম্বনায় পড়লেও ব্যাপক ভাবে প্রচারের আলোকে এসেছেন তিনি।