করোনা সংকট উত্তোরণে আফ্রিকার প্রয়োজন ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার

ওয়াশিংটন, (সংবাদ সংস্থা): মহামারী করোনায় অর্থনীতির ক্ষতির সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যয় হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে আগামী তিন বছরে আফ্রিকার দেশগুলোর এক দশমিক ২ ট্রিলিয়ন বা এক লক্ষ ২০ হাজার কোটি ডলার অর্থ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ।
আইএমএফের ভার্চুয়াল সভায় সংস্থার প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, ‘এই সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য আফ্রিকার প্রতি সহায়তার হাত আরও প্রশস্ত করতে হবে গোটা বিশ্বকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আফ্রিকার অর্থনৈতিক উন্নতির প্রবণতা ছিল নেতিবাচক। কারণ অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, পারিবারিক উপার্জন হ্রাস পেয়েছে ১২ শতাংশ। আর, এর মোকাবিলায় আফ্রিকার অনেক সরকার যে নীতি চালু করেছে তা জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ।’ তবে বেশিরভাগ মহাদেশের তুলনায় দারিদ্র্যপীড়িত আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কম। বেশি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো বলেই ধারণা। তারপরও, বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, মহামারীতে আরও ৪৩ মিলিয়ন আফ্রিকান অতি দরিদ্র হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে আফ্রিকান দেশগুলিকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার দিয়েছে আইএমএফ। তারপরও এখনও বিশাল তহবিল ঘাটতিতে রয়েছে আফ্রিকান দেশগুলি।
এপ্রসঙ্গে আইএমএফ প্রধান বলেছেন, ‘অঞ্চলটির কিছু দেশের রয়েছে অতিরিক্ত ঋণের বোঝা। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত ব্যয় এবং ঋণ পরিশোধের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে অনেক দেশ।’ তাই, সহায়তার মাধ্যম হিসেবে ঋণ পরিশোধে অর্থনৈতিক জোট জি-২০ এর স্থগিতাদেশ বাড়ানো ছাড়াও দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলিকে ঋণ দেওয়ার জন্য আরও তহবিল যোগান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:ফের ক্ষমতায় এলে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, আফ্রিকার দেশগুলিতে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ করোনার সংক্রমণে শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছে প্রায় ৩৭ হাজার। তবে, নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো গেলে এ সংখ্যা আরও বেশি হত বলে অনেকে দাবি করছেন। তবে, বেশ কয়েকটি মহামারী মোকাবিলায় আফ্রিকার অভিজ্ঞতা থাকায় করোনাকেও তারা ভালোভাবে সামাল দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।