
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: সপ্তাহখানেক আগে ঘরে ঢুকে মা এবং দুই মেয়েকে কুপিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল অভিযুক্ত দেওর সুলতান আনসারি। ২৫ সেপ্টেম্বর একবালপুরের সুধীর বসু রোডের এই হত্যাকান্ডে শিউরে উঠেছিলেন এলাকাবাসীও। ঘটনার দিনই মৃত্যু হয় মা আকিদা বেগমের। ৭ দিন লড়াই করার পর মৃত্যু হল মেয়ে তাইবা খাতুনেরও (১৭)। দিদি শাগুফতা এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল ওই পরিবারে। বারবার চেষ্টা করেও সম্পত্তি সমস্যা না মেটায় মা ও দুই মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত সুলতান। এমনকি খুন করে হায়দরাবাদে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল অভিযুক্তের। তার জন্য সে টিকিটও করিয়ে রেখেছিল।
২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম্মাবারে নমাজের সময়ে এলাকায় কেউ না থাকার সুযোগে একবালপুরের সুধীর বসু রোডে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। তারপর শিলনোড়া দিয়ে ওই তিন জনকে গুরুতর আঘাত করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। ঘটনার সময়ে বাড়ি ছিলেন না আকিদার স্বামী হারুণ রশিদ। তারপরেই সে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে। সুলতান সম্পর্কে আকিদার দেওর হয়। সে আকিদার এক মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাতে কিছু সম্পত্তির মালিকও হতে পারত সে। কিন্তু তাতে রাজি হননি আকিদা ও তাঁর স্বামী হারুণ রশিদ। তার জন্য সে পরিকল্পনা করে এই প্রতিশোধের ছক কষে। যদিও হায়দরাবাদ পালানোর ইচ্ছা থাকলেও বহু লোকজন পালাবার সময়ে দেখে ফেলায় সে আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।