টুনবার্গের পর ট্রাম্পকে একহাত নিলেন জাসিন্ডা আর্ডেন

টুনবার্গের পর ট্রাম্পকে একহাত নিলেন জাসিন্ডা আর্ডেন
ওয়েলিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা টুনবার্গ। টুইটবার্তায় ভোট গণনা বন্ধ করতে বলার পর ট্রাম্পকে ‘শান্ত’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওই সুইডিশ কিশোরী। কিন্তু, এবার ট্রাম্পের জয়ের দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই নিজেকে জয়ী দাবি করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির বিপক্ষে ভোট চুরি চেষ্টার অভিযোগ এনে ভোট গণনা বন্ধ করতে আদালতে মামলা করেন তিনি। এরই মধ্যে এক টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ভোট গণনা বন্ধ করুন।’ এর পরই আমেরিকা জুড়ে বিশৃঙ্খলাকর পরিস্থিতি দেখা দেয়। সেকথা উল্লেখ করে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা বলেন, ‘নির্বাচন-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আর নির্বাচন-পরবর্তী তার দেশ শান্ত মরূদ্যান।’
এরপরেই জাসিন্ডা বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমরা আমাদের সাম্প্রতিক নির্বাচনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনোভাবে তাদের সহায়তা করতে পারি না।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পের জয় দাবিকে প্রতারণা উল্লেখ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা আছে। আমাদের বিশ্বাস ভোট গণনা চলমান থাকবে এবং একটি চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা আসবে।’ একইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য যত বড় চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন তারা এগুলোর সমাধান করতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার জাসিন্ডার এই প্রতিক্রিয়া সামনে আসার আগেই টুইটারে ঝড় তোলেন টুনবার্গ। এদিন ট্রাম্পের টুইটবার্তা রি-টুইট করে টুনবার্গ বলেন, ‘খুবই হাস্যকর। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাত্রদাহ বা খ্যাপামি সমস্যা নিয়ে তার অবশ্য কাজ করতে হবে। তারপর এক বন্ধুকে নিয়ে একটি ভালো পুরোনো ফ্যাশন মুভি দেখতে যেতে হবে। শান্ত হন ডোনাল্ড, শান্ত হন!’ এরপর একই ধরনের টুইট করেন ট্রাম্প বলেন, ‘শান্ত হন গ্রেটা, শান্ত হন।’ তবে, এর আগেও ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১৭ বছর বয়সী গ্রেটাকে রাগ কমানোর পরামর্শ দেন ট্রাম্প। সে সময়ে বন্ধুর সঙ্গে পুরোনো কোনো সিনেমা দেখতে যেতেও বলেন তিনি। এবার তার এসব অপমানের সুদে-আসলে জবাব দিলেন গ্রেটা টুনবার্গ। জানা যাচ্ছে, ট্রামকে করা টুনবার্গের এদিনের টুইটে মাত্র দুই ঘণ্টায় চার লক্ষ ৫২ হাজারের বেশি লাইক পড়ে। ওই পরিমাণ সময়ে ট্রাম্পের টুইটে লাইক পড়ে গ্রেটার অর্ধেক।