ফের ঝাড়গ্রামে হাতির হানা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম : খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে রীতিমতো রাতভোর তান্ডব চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙ্গলো দাঁতাল। পাশাপাশি গ্রামের পাশে জমিনে চারা ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। রবিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়্গ্রাম ব্লকের কলসীভাঙ্গা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কলসীভাঙ্গা, জুয়ালভাঙ্গা, শালবনী, বরিয়া, শিরশি এলাকায় সারা বছরেই হাতি থেকে যায়। ওই দিন রাতে একটি হাতি কলসীভাঙ্গা গ্রামের তিলক টুডুর বাড়ির এসে খাবারের খোঁজ করতে থাকে। ওই সময় তিলক বাবু বাড়ির বাইরে আওয়াজ শুনে বাইরে এসে দেখেন একটি হাতি ঘোরাঘুরি করেছে। এরপরেই ভিতরে ঢুকে যায়। তারপর হাতিটি বাড়ির দরজাতে ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে দেয়। দরজা ভাঙ্গার পর খাবার না পেয়ে ঘরের চালা ভাঙ্গচুর করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই এলাকার হাতি গুলিকে তাড়ানোর জন্য বারে বারে বনদফতরকে বললেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। যদিও বনদফতরের দাবি হাতি গুলিকে তাড়ানো হয়। কিন্তু আবার ফিরে আসে। সারা বছর ধরেই ঝাড়্গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাতি রয়েছে। উল্লেখ্য শালবনী এলাকায় খাবারের খোঁজে মাঝে মধ্যেই রাজ্য সড়কে উঠে এসে লরি দাঁড় করিয়ে খাবারের সন্ধন চালায়। অন্যদিকে গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রম, সাঁকরাইল, ঝাড়্গ্রাম, বিনপুর, বেলপাহাড়ী এলাকার ব্যাপক চারা ধান নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ করছেন কৃষকেরা।
এদিকে বনদফতরের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আম, কাঠাল সে তুলনায় হয়নি। যার ফলে খাদ্যের সন্ধানে হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ছে। এবিষয়ে ঝাড়্গ্রামের ডিএফও বাসব রাজ হোলচ্চি বলেন, “কলসীভাঙ্গা এলাকায় একটি হাতি রয়েছে। হাতিটির উপরে বনকর্মীরা নজর রেখেছে। আর যার বাড়ি ভেঙ্গেছে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।”