যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে চাকরি হারালেন বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ৪৮ জন পাইলট। ঋণের দায়ে ধুঁকছে সরকারি বিমানসংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ।কোষাগার প্রায় বলতে গেলে শূন্য। তার ওপর এই সংকটকালে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে করোনা মহামারী। ফলে খরচ কমাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে হল এয়ার ইন্ডিয়াকে। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে ৪৮ জন পাইলটকে ছেঁটে ফেলল বিমানসংস্থাটি। এদের মধ্যে অনেকে আবার কাল রাত অবধি ‘বন্দে ভারত’ মিশনের অধীনে বিমান উড়িয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার রাতে Air India’র তরফে ফরমান জারি করে ওই ৪৮ জনকে তৎক্ষণাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরা প্রত্যেকেই গতবছর পদত্যাগ করেছিলেন। পরে আবার নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের নোটিশ পিরিয়ডের মধ্যে সেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে কাজেও যোগ দেন। কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত তখন মেনেও নেয়। এবং তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
কিন্তু শুক্রবার রাতে হঠাৎ সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এবং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগে আপনাদের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল হল। এবং শুক্রবার রাত ১০টা থেকেই তাঁদের কাজ থেকে অব্যাহতি নিতে বলা হয়। আরও দুঃখজনক বিষয় হল, এই ৪৮ জনের যে চাকরি যাবে, তা সংস্থা তাঁদের আগে জানানোরও প্রয়োজন বোধ করেনি। যে কারণে সংস্থা যখন চাকরি যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করল, তখনও এদের মধ্যে কয়েকজন ককপিটে বসে বিমান চালাচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর আগে থেকেই ক্রমে বেড়ে চলা ঋণের দায়ে নাজেহাল অবস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার। সংস্থাটিকে বিক্রি করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছে কেন্দ্র। তবে টাটা গোষ্ঠী ছাড়া এখনও পর্যন্ত তেমন ক্রেতা পাওয়া যায়নি। এদিকে, লকডাউন (Lockdown) সেই পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। যার জেরে ইতিমধ্যেই ‘নন পারফর্মিং’ (যাঁদের কাজ সন্তোষজনক নয়) কর্মীদের পাঁচ বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তে একপ্রকার শিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন বিমানসংস্থাটির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর (CMD)। এবার কর্মী ছাঁটাইও শুরু করে দিল সরকারি বিমানসংস্থাটি।