পুজোর আগে সুখবর, করোনা বিধি মেনে গান্ধি জয়ন্তীতে খুলছে রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: আলিপুরের শিম্পাঞ্জি বাবু, রয়্যাল বেঙ্গল স্নেহাশিস কিম্বা সিংহ মামা বিশ্বাসের সঙ্গে শিগগিরই মোলাকাৎ হবে। আর সেটা পুজোর আগেই। আগামী ২ অক্টোবর থেকেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে জঙ্গল সাফারি। খুলছে ন্যাশনাল পার্ক, টুরিজম সেন্টারগুলি। হাতি সওয়ারি ছাড়া সব রাইড চালু থাকবে। কিন্তু অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে। শুক্রবার এখবর জানালেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৭ মার্চ থেকে বনদফতরের অধীনে চিড়িয়াখানা,ন্যাশনাল পার্ক, ইকো টুরিজিয়াম সেন্টারগুলি বন্ধ ছিল। এবার কোভিড প্রোটোকল মেনে সাধারণের জন্য ফের খুলতে চলেছে সেগুলি। ঠিক কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
সেগুলি হল: ১. এবার থেকে যেকোনও জায়গায় প্রবেশের টিকিট বুকিং করতে হবে অনলাইনে।
২. ১০ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উপরে কাউকে নিয়ে ভ্রমণ করলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৩. পর্যটকদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৪. বোটিং কিংবা পার্কে কোনও প্রমোদমূলক সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার সবসময় ব্যবহার করতে হবে।
৫. আপাতত হাতি সাফারি বন্ধ থাকবে।
৬. কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিলে যেকোনও সময় পার্ক কিংবা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তা আংশিকভাবে বন্ধ করতে পারেন। আরও জানানো হয়েছে, জিপ সাফারির ক্ষেত্রে একটি করে আসন ছেড়ে ছেড়ে বসতে হবে। স্যানিটাইজার ও মাস্ক বাধ্যতামূলক। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে গাড়িগুলো স্যানিটাইজ করে দেওয়া হবে। কোনও ওয়াচ টাওয়ারে ২০ জনের বেশি পর্যটককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখালে তবেই জঙ্গলে ট্রেকের অনুমতি মিলবে।
আরও পড়ুন: দুয়োরানির তকমা ঘুচতে চলেছে চক্ররেলের বাড়তে পারে ট্রেনের সংখ্যা
করোনা পরিস্থিতিতে অবশ্য পর্যটকদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার ক্ষেত্রে দৈনিক ৫ হাজার ,বেঙ্গল সাফারির ক্ষেত্রে ৩ হাজার ,দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ক্ষেত্রে ২ হাজার এছাড়া অন্যান্য যে ছোট খাটো চিড়িয়াখানা আছে সেখানে ১ হাজার দর্শক ঢুকতে দেওয়া হবে। বনদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরিষেবা শুরু হওয়ার পর ১৫-১৬ অক্টোবর নাগাদ পর্যালোচনা করা হবে। কোথাও কোনও নিয়মের পরিবর্তন দরকার কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। বনমন্ত্রী জানান, ‘কোভিডের জন্য কোথাও বাধা দেওয়া হচ্ছে না, কিন্তু মানুষকে বলছি তাঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন। কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী ৬৫ বছরের উর্ধ্বে ও ১০ বছরের নিচে তাঁরা যেন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেন।’