ইসলামপুরে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, নবান্নর দ্বারস্থ কৃষকরা

দীপঙ্কর দে, ইসলামপুর: কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক সহায়তায় প্রদান কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে নবান্নর দ্বারস্থ ইসলামপুরের কৃষকরা। এই ঘটনায় ইসলামপুর ব্লক জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইসলামপুরের কৃষি আধিকারিক দীপ সিনহা, কৃষি দপ্তরের প্রকল্প বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ইমাম হোসেন ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে প্রাথমিক নথিভুক্তের বরাত পাওয়া ইনগ্রিনস কোম্পানির সুপারভাইজার মিহির কান্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরকারী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা না পাওয়া কৃষকদের একাংশ ইতিমধ্যে কৃষি দপ্তর সহ ইসলামপুর মহকুমা শাসক ও বিডিও এবং বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর পাশাপাশি নবান্নতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী আকবর আলী জানিয়েছেন, কোম্পানীর সুপারভাইজার মিহির কান্তি বিশ্বাস ও কৃষি দপ্তরের কর্মী ইমাম হোসেন মিলে কৃষি আধিকারিক দীপ সিনহার মদতে প্রথমে চেকের মাধ্যমে এবং পরে বিভিন্ন ব্যাংকের সিএসপি গুলির মদতে ইসলামপুর ব্লকের প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এবিষয়ে ইমাম সাহেবকে না পাওয়া গেলেও মিহির কান্ত বিশ্বাস বলেন, যা বলার সাহেব বলবে আমার কোনও বক্তব্য নেই। এই বলেই মিহিরবাবু কার্যত পালিয়ে যান। ইসলামপুরের মহকুমা শাসক খুরশিদ আলম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে ইসলামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক দীপ সিনহা বলেন, ইসলামপুর ব্লকে ২৬ হাজার আবেদন নেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ২১ হাজার এপ্রুভাল দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো আবেদন পত্রে ভুল বা জাল প্রমানে রিজেক্ট করা হয়েছে। একটা অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। সবমিলিয়ে এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন করোনা আবহের মধ্যে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন সেই অর্থ কৃষক পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই আত্মসাৎ করে নেওয়া চরম অপরাধ বলে মত বিভিন্ন মহলের। পাশাপাশি কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এই বিপুল পরিমাণ সরকারী অর্থ আত্মসাতের পিছনে শাসকদল তৃণমূলের মদত ছাড়া সম্ভব নয় বলে দাবী ওয়াকিবহাল মহলের।