কাঁকসার আড়া মোড়ে সরকারি শৌচালয় দখল করে তৃণমূল কার্যালয় করার অভিযোগ

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: ‘ছিল রুমাল। হয়ে গেল বিড়াল।’ সরকারি অনুদানে তৈরী সাধারনের ব্যাবহার্য শৌচাগার দখল করে করা হয়েছে তৃণমূলের কার্যালয়। নজিরবীহিন ঘটনাটি দুর্গাপুর সংলগ্ন কাঁকসার আড়া মোড়ের। যার ফলে ওই শৌচাগারই ব্যাবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কাঁকসার আড়া মোড়ে জন সাধারনের ব্যাবহারের জন্য কমিউনিটি শৌচাগার ও স্নানাগারটি তৈরি হয়। প্রকল্পটির নিজস্ব ফান্ড থেকে রূপায়ন করে তৎকালীন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি। অভিযোগ, সরকারি অনুদানে তৈরি শৌচাগার দখল করে চলছে তৃণমূলের কার্যালয়। শৌচালয়ের গেটের ওপর ঝুলছে তৃণমূল কার্যালয়ের ব্যানার। আর রাজনৈতিক দলের দখলে চলে যাওয়ায় সেটি ব্যাবহার করতে পারচ্ছেন না এলাকাবাসী। আর এখানে প্রশ্ন উঠেছে। গোটা দেশ যখন স্বচ্ছ ভারত গড়ার লক্ষ্যে, গোটা বাংলা যখন নির্মল বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তৎপর কেন্দ্র রাজ্য উভয় সরকার, তখন সর্ব সাধারনের ব্যাবহারের শৌচাগার কিভাবে দখল হয়ে গেল?
বিজেপি নেতা অমিতাভ ব্যানার্জী বলেন,” গোটা বাংলাজুড়ে জবরদখলের শিল্প চলছে। সবই শাসকদলের মদত। সরকারি জমি দখল থেকে প্রতিক্ষালয়। রেল লাইনের পাড় থেকে সেচ ক্যানেলের ভেতর কেথাও বাদ নেই। সবই জবর দখলের কব্জায়। এবার সরকারি টাকায় তৈরি প্রকল্প সেটাও দখল করে তৃণমূলের কার্যালয়। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ওই শৌচালয়টি করোনা আবহে বন্ধ রাখা হয়েছে। শৌচালয় দখল করে কোনও কার্যালয় তৈরী হয়নি। শৌচালয় লাগোয়া কার্যালয় দলের নিজস্ব টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
যদিও, ঘটনায় কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ গনেশ মন্ডল বলেন,” বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানান,”বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” কাঁকসা বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”