রিকশা চালককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, স্থানীয়দের রাস্তা অবরোধ

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: দুষ্কৃতীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে হাতিয়ারার পীর সাহেব মোড়ে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে টাওয়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করল পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইকোপার্ক থানার পুলিশ। প্রায় দুঘন্টা ধরে চলে রাস্তা অবরোধ।
গত শনিবার গভীর রাতে শেখ ফিরোজ নামে এক রিকশা চালককে আধমরা অবস্থায় নিউটাউনের হাতিয়ারা পীরসাহেব মোড়ের কাছে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ইকোপার্ক থানায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ এসে ওই রিকশা চালককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে ইকোপার্ক থানায় অভিযোগ করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর শনিবার রিকশা চালক শেখ ফিরোজ মারা যায়।
[আরও পড়ুন- হিন্দু গ্রামবাসীদের দানের অর্থ দিয়ে তৈরি হল সম্প্রীতির পীঠস্থান]
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শনিবার গভীর রাতে শেখ ফিরোজ নামে ওই রিকশা চালক বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করে এবং তার কাছ থেকে সমস্ত টাকা কেড়ে নেয় ওই দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ইকোপার্ক থানায় অভিযোগ করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে শেখ বাবলু নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃত শেখ বাবলু বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন শেখ ফিরোজের মৃতদেহ নিয়ে আসে হাতিয়ারার পীর সাহেব মোড়ে।
দুষ্কৃতীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে হাতিয়ারার পীর সাহেব মোড়ে টাওয়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে প্রায় দুঘন্টা ধরে হাতিয়ারা মেন রোডের পীর সাহেব মোড়ে অবরোধ করে পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইকোপার্ক থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের অনেক বোঝানোর পর অবরোধ তুলে নিয়ে নেওয়া হয়। মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রিকশা চালক শেখ ফিরোজ খুনের মামলায় রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ।