ধর্মস্থান খোলা হলেও মসজিদের বদলে বাড়িতেই নামাজের পক্ষে সওয়াল মুসলিমদের একাংশের
মোকতার হোসেন মন্ডল: ধর্মস্থান খোলা হলেও মসজিদের বদলে বাড়িতেই নামাজের পক্ষে সওয়াল করছেন মুসলিমদের একাংশ। তাদের মতে, এতদিন লকডাউন ছিল, হটাৎ সেটা শিথিল করলেও করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ঘরেই থাকতে হবে। আবার অনেকে বলছেন, নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে হয়, কোন ১০ জনকে নিয়ে মসজিদে জামাত হবে এবং সেটা কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন।
নাখোদা মসজিদের ট্রাস্টি নাসের ইব্রাহিম জানান, ইতিমধ্যেই কিছু লোক নিয়ে নিয়মিত জামাত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন সেটা মুসলিমদের জন্য কিভাবে সম্ভব। জুম্মার নামাজে অনেক লোক হবে এবং ১০ জন আসতে বললে কোন দশ জনকে বলবো। আর এক মসজিদে বারবার জুম্মার জামাত কিভাবে হবে। সুতরাং সেই আগের মতোই হয়ে থাকছে। অধ্যাপক শামীম আহমেদ আবার বলছেন, ধর্মস্থান খোলা হলেও মুসলিমরা বাড়তেই নামাজ পড়ুক।
আরও পড়ুন: আসানসোলের আরও তিনজন করোনা আক্রান্তের হদিশ
মুসলিমললীগের জাতীয় যুব সভাপতি সাবির এস গাফ্ফার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন সেটা সবাইকে নিয়ে বলেছেন। কিন্তু জুম্মার দিন যাতে আরও বেশি লোক নামাজ পড়তে পারে সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া ঈদের মতো বাড়িতে বাড়িতে জুম্মার নামাজ পড়া যায় কিনা তা নিয়ে ইমাম সাহেবরা পরামর্শ দেবেন। এদিকে বেঙ্গল ইমাম এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইয়াহিয়া বলছেন, ধর্মস্থান খোলার কোনও মানে হয়না। মানুষের রুটি রুজি নিয়ে ভাবা উচিত। করোনা ভাইরাস রোধে ধর্মস্থান খোলার যুক্তি কী।
এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি জানান, মুসলিমরা যেভাবে আগে দুইমাস নামাজ পড়েছেন সেইভাবে পড়ুন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না পাওয়া পর্যন্ত দু চারজন নিয়ে নামাজ হোক। হাইকোর্ট, স্থানীয় কোর্ট,ট্রেন, ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, মেট্রো খুলে দিয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা করে দেওয়া উচিত বলে তার মন্তব্য।