পরিযায়ী শ্রমিক প্রত্যাবর্তনে আশা জাগলেও আশঙ্কা বাড়ছে
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কল্পে সারা দেশব্যাপী লকডাউন বলবৎ থাকায়বহু পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে পড়ে। লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় পরিবারগুলোর মধ্যে আশার আলো দেখা দিলেও আশঙ্কার ঘনকালো মেঘ কিন্তু উঁকি মারছে। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই করোনা ভাইরাস অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমিত হয়েছে বাইরের থেকে আসা ব্যাক্তি দের সংস্পর্শে জড়িয়ে, ফলে অশনিসংকেত কিন্তু অবশ্যই অপেক্ষা করছে।এই মুহূর্তে রাজ্যের যা স্বাস্থ পরিকাঠামো, তাতে পুরোপুরি ভরসা করা খুবই মুর্খামি। কথায় আছে, ডাল নেই তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার। রাজ্য সরকারের অবস্থা হয়েছে অনেকটা সে রকম।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরা কাজ যাই করুক না কেন, বিবৃতিতে এগিয়ে আছে। ফলে টেস্ট সার্বিক ভাবে হবে না নিশ্চিত্। শেষ পর্যন্ত হয়তো বলবে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকতে, আর সেখানেই তো মহাবিপদ অপেক্ষা করছে। সাড়ে নয় কোটি জনসংখ্যার রাজ্য পশ্চিম বঙ্গ। জনসংখ্যার সিংহভাগ, যারা দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন এবং এই পরিবার ভুক্ত পর্যায়েই পরে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। অধিকাংশের বাড়িতে ই হয়তো দুটি ঘর। একটি শোয়ার ঘর, যেখানে পরিবারের সবাই একসঙ্গে থাকে। দ্বিতীয়টি ছোট্ট রান্না ঘর। এর বাইরে তো কোন ঘরই নেই।
আরও পড়ুন: মদামৃত, মদের বোতলেই সুধা
তাহলে হোম কোয়ারেন্টাইনে ঐ শ্রমিক থাকবে কিভাবে? আর শৌচালয়! সে তো কমন ব্যবহার উপযোগী। পৃথক ব্যবস্থার সামর্থ্য কোথায়? আর এখানে ও গল্প আছে! কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত, প্রতিটি বাড়িতেই পাকা শৌচালয় বাধ্যতামূলক। এই প্রকল্প এরাজ্যে ও বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে নাম পরিবর্তন করে নির্মল বাংলা। সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় না রেখে দিদিমণি নাম যাই রাখুক না কেন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যা বা পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিষেবা গ্ৰহিতার কাছ থেকে কাটমানি নিয়ে যে শৌচালয়টি তৈরি করে দিয়েছিল, তার অধিকাংশই এই মুহূর্তে ব্যবহারের অযোগ্য। এমতাবস্থায় দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পরিবারগুলো সহ সংশ্লিষ্ট গ্ৰাম ও এলাকা সমূহে। পরিস্থিতি কিন্তু ক্রমশঃ জটিল আকার ধারণ করছে চলছে।