আমতায় তৃণমুল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ
পাপ্পা গুহ, উলুবেড়িয়া: গ্রামে ফেরার দুইদিনের মধ্যে এক ঘরছাড়া তৃণমুল কর্মীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দলের অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। মৃত ব্যক্তির নাম সমীর খাড়া (৪৫)। বাড়ি আমতা থানআর চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিন হরিশপুর গ্রামের দুলে পাড়ায়। সোমবার রাতের এই ঘটনায় পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমুলের দুটি গোষ্ঠীর বিবাদ চরমে ওঠে। ঘটনায় তৃণমুলের ৭ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৩০০ জন গ্রামবাসী খরছাড়া হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ঘরছাড়া থাকার পর স্থানীয় বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজির উদ্যোগে পুলিশ পাহারায় গত শনিবার ঘরছাড়ার গ্রামে ফেরে যাদের মধ্যে সমীর ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এলাকার কয়েকজন সমীরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আমতা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এলাকায় উত্তজেনা থাকায় রাতেই নামানো হয় র্যা ফ ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনায় মৃতের পরিবারের অভিযোগ চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ ফারুক মল্লিকের লোকজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। যদিও ফারুকের দাবি এটা পারিবারিক বিবাদের ফল।
তিনি দাবি করেন যদি তার লোকজন খুন করবে তাহলে শনিবার করতে পারত। ঘটনায় বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি বিজেপির বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন।
অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমুলের হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি পুলক রায়ের দাবি বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতীরা সমীরকে খুন করে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণের সৃষ্টি করছে। পুলিশকে বলা হয়েছে দোষীধের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে।
যদি ও বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার প্রাক্তন সভাপতি অনুপম মল্লিক তৃণমুলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।