জীবন যন্ত্রণায় জেরবার রাজধানীর নাগরিক সমাজ
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস : জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়ে, ললাটে এত দুর্ভোগ লিখন ছিল,হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, রাজধানী কলকাতা শহরের ষাট উর্ধ্বের নাগরিকেরা। ধন,দৌলত স্বচ্ছলতা থাকলেই পরিবারে সুখ-শান্তি বিরাজ করে না,সে জন্য চাই অত্যাবশ্যকীয় কিছু পরিষেবা। আজকের উন্নত বিশ্বে অত্যাধুনিক চাহিদা পূরণে বিদ্যুৎ সংযোগের ভূমিকা অপরিসীম। যার অনুপস্থিতিতে কি ধরনের দূর্ভোগ পোহাতে হয়,কলকাতা শহর আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় স্বাভাবিক জনজীবন আজ চরম ভাবে বিপর্যস্ত।নেই এবং বন্ধের তালিকা আজ অনেক বড়।
বিদ্যুৎ নেই ফলে জল সরবরাহ বন্ধ,আলো এবং পাখা বন্ধ, ইন্টারনেট সহ যাবতীয় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ। জীবন যন্ত্রণার এক দুর্বিসহ কঠিন মুহূর্তে উপনীত শহরের নাগরিক সমাজ। শুধুমাত্র পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির অভাবে পরিস্থিতির শিকার আজ মহানাগরিকবাসী। আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। আবহাওয়া দফতর অনেক আগে থেকেই রাজ্যকে সতর্ক করেছিল,আগাম সতর্কতা বার্তা পাওয়া সত্বেও গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি নিজে আগাম সতর্কতা স্বরূপ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি মোকাবেলার সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস সহ প্রয়োজনে সেনা নামানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী সে প্রস্তাব গ্ৰহন করেন নি।
ঘটনার পর অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে দেখে তিন দিন পর কেন্দ্রের কাছে সেনা চাওয়া হল ঠিকই কিন্তু পরিস্থিতি ততক্ষণে হাতের বাইরে। অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পৌরসভা এবং সি,ই,এস,সি- র ভূমিকা নিয়ে। সি,ই,এস,সি কে আগে থেকে সতর্ক করা হল না কেন?
সি,ই,এস,সি-র পরিকাঠামোগত দুর্বলতা জানা সত্বেও বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়িয়ে যায় কি ভাবে? যেখানে সি,ই,এস,সি-র কর্নধার সজ্ঞিব গোয়েঙ্কার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সখ্যতার কথা সর্বজনবিদিত।
মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ক্রেতার তালিকায় যেমন সি,ই,এস,সি-র কর্নধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে দেখা যায় পাশাপাশি সৌজন্যবোধ স্বরূপ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে বঙ্গ বিভূষণ সন্মাননা রাজ্যবাসী এখনও ভোলেনি। ফলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে সখ্যতা নেই,এ দায় মুখ্যমন্ত্রী কোন অবস্থাতেই এড়াতে পারেন না।