fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

আমফানের ক্ষতিপূরণ মেলেনি,বাড়ি ভাঙায় দিশেহারা নন্দীগ্রামের একাধিক পরিবার

রাজকুমার আচার্য, নন্দীগ্রাম: কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও আমফানের ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি। ফলে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাটির ঘরে কাটছিল দিন। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল একের পর এক বাড়ি। নন্দীগ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার মাথার গোঁজার শেষ সম্বব হারিয়ে দিশেহারা গ্রামবাসীরা। এখনও সেভাবে তৃণমূল সরকারের প্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়াতে না দেখে বিক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন।

নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ মধ্যপল্লী ১৫৯ নম্বর বুথ এলাকায় কয়েকদিন ধরে একে একে ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি। কোনও কোনও পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে। কোনও কোনও পরিবার ওই ভাঙা বাড়ির মধ্যে জীবনকে বাজি রেখে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। পাওয়ার কথা ২০ হাজার টাকা। আবার কেউ কেউ কোনও ক্ষতিপূরণই পায়নি। কারও আবার মোবাইলে ম্যাসেজ এলেও ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন ক্ষতিপূরণ এর টাকার কোনও হদিশ নেই।

আবহাওয়া দপ্তরের বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। বৃষ্টিও হচ্ছে কয়েকদিন ধরে লাগাতার। শনিবার রাত নিয়ে বিগত কয়েকদিনে ভেঙে পড়েছে ৫টি বাড়ি। মঞ্জু মান্না, গুরুপদ মান্নাদের অভিযোগ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ঘর ভেঙে যাওয়ার পরও সেভাবে কেউ খোঁজ নেয়নি। অভিযোগ, দু-একজনকে একটি করে ত্রিপল পাঠিয়ে কর্তব্য শেষ করেছেন জন প্রতিনিধি।

মণি মান্না নামের এক  বিশেষভাবে সক্ষম মহিলারও বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তারফলে  কোনও সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার দাদা গুরুপদ মান্না। তিনি বলেন,”লকডাউনের কারণে কয়েক মাস কাজে যেতে পারিনি। আমি বারবার বিভিন্ন জন প্রতিনিধির কাছে গিয়েও কোনও সুবিধা পাইনি। বিশেষ ভাবে সক্ষম বলে আমার বোনও কোনও সহযোগিতা পায়নি। একজনের কাছে গেলে বলে অপরজনের কাছে যাও।”

নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপির সহসভাপতি নিশিথবরণ দাস বলেন, “সারা নন্দীগ্রাম জুড়ে শাসক দল তৃণমূলের আমফান দুর্নীতি তাদের সমস্ত দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। তৃণমূলের বহু পাকা বাড়ির লোকজন অনেক আগেই ২০ হাজার টাকা করে পেয়ে গেছেন অথচ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা দেওয়াল চাপা পড়ে মরার অপেক্ষা করছেন। যে কয়েকটি ঘর ভেঙেছে এগুলি নমুনা মাত্র। আরও অনেক ঘর ভেঙে পড়বে নন্দীগ্রামে। চোখ তুলে দেখছেন না তৃণমূল সরকার।”

আমদাবাদ ১ নম্বরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের শ্রাবণী হাজরা গায়েন বলেন, “কেউ কেউ আমফান ক্ষতিগ্রস্তের ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। উনাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জিও ট্যাগ হয়ে গেছে, টাকা শীঘ্রই ঢুকবে।” কিন্তু ২০ হাজার টাকার ম্যাসেজ পাওয়া সত্ত্বেও কেন টাকা পাননি সেই বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।

Related Articles

Back to top button
Close