
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই ছেড়ে ফের নিজের শহর মানালিতে সোমবার সকালে ফিরে গেলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। মানালি যাওয়ার আগে একগুচ্ছ টুইট পোস্টে কঙ্গনা তাঁর মুম্বই ছাড়ার কারণ হিসেবে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বিগত কয়েকদিন ধরে চলা টানাপোড়েনকেই দায়ী করেছেন। মন থেকে মুম্বই ছাড়তে না চাইলেও তাঁর প্রতি রাজ্য সরকারের আগ্রাসী মনোভাবে যে তিনি যথেষ্টই শঙ্কিত সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে কঙ্গনার পোস্ট। এদিন তিনি টুইটারে জানান, ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি মুম্বই ছাড়ছি। যে কটাদিন আমি ছিলাম, প্রতিদিনই আমায় নানাভাবে ভয় দেখানো, ক্রমাগত ব্যক্তিগত জীবনে আক্রমণ এবং গালিগালাজ করা হয়েছে। এমনকি আমার অফিস ভাঙার পর বাড়িও ভেঙে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমার সুরক্ষা জন্য যেভাবে অস্ত্র নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘুরে বেরাচ্ছিলেন। তা দেখে একটা জিনিসই বলতে ইচ্ছে করছে যে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের উদাহরণটি নিতান্ত অমূলক ছিল না।
মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে মুম্বই এলেন, দেখলেন, দেখালেন, লাগাতার বিতর্কের জন্ম দিয়ে ফের মুম্বই ছাড়লেন কঙ্গনা রানাউত! তাহলে কি মুম্বইতে নিরাপদ নন অভিনেত্রী? উঠছে প্রশ্ন। সঞ্জয় রাউতকে কটাক্ষ করে গতকালই বলেছিলেন “শিব সেনার গুন্ডারা আমায় রেপ করবে, সেটা বিজেপি চুপ করে দেখবে?” তাহলে কি সেটা থেকেই আরও চরমে পৌঁছল বিতর্ক?সোমবার সকালে অতি তৎপরতার সঙ্গে মুম্বই ছাড়লেন কঙ্গনা কঙ্গনা রানাওয়াত।
তাঁকে দুর্বল মহিলা ভাবলে মহারাষ্ট্র সরকার খুব বড় ভুল করবে বলে টুইট পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে কঙ্গনা শিবসেনার নাম না করে অভিযোগ করেছেন, ‘রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গেলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ হয়! একজন মহিলাকে ভয় দেখিয়ে অপমান করে, নিজেদের ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছেন।’
এদিকে আবার গত রবিবার বিকেলে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল। প্রায় ৪০ মিনিট এই বৈঠক চলে। পরে বাইরে বেরিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি যে রকম ব্যবহার পেয়েছিলাম, সেটাই ওনাকে বলতে গিয়েছিলাম। উনি সবটা শুনেছেন। একেবারে নিজের মেয়ের মতই তিনি স্নেহের সঙ্গে আমাকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি শুধু নিজের নয়, সারা দেশের যুব সমাজের কথাই বলতে গিয়েছিলাম। দেখা যাক, হয়তো সঠিক বিচার পাব।’
প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুরহস্য ঘিরে প্রথম থেকেই মুম্বই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকারের কাজে ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন কঙ্গনা। পুরো লকডাউন মানালিতে নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে গত সপ্তাহেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুম্বই ফিরেছিলেন কঙ্গনা। সম্প্রতি শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ চরমে ওঠে। পালি হিলস্-এ কঙ্গনার অফিসও ভাঙা শুরু করে বিএমসি এই বলে যে ওই অফিসটি বেআইনিভাবে নির্মিত। যদিও বম্বে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে ভাঙার কাজ থেমেছে।