মালদায় করোনা নেগেটিভ পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণ
মিল্টন পাল,মালদা: করোনা সংক্রমণ নিয়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ফেরা শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দূর ব্যবহার করার অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ফেরা ওই শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না গ্রামবাসীরা। সমস্যায় পড়েছে ভিন রাজ্য থেকে আসা এই শ্রমিকরা। মালদার ইংরেজবাজার থানার মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েতের আটগামা এলাকার ঘটনা। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিজাম আলী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েতের আটগামা,নতুনটোলা গ্রামের বেশ কয়েকজন শ্রমিক কেউ বা মহারাষ্ট্র আবার কেউ বা দিল্লিতে শ্রমিকের কাজে কর্মরত ছিলেন। করোণা সংক্রমনের জেরে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। আর তার জেরে আটকে পড়ে এই সমস্ত শ্রমিকেরা। মাসখানেক সেখানে থাকার পর চলতি মাসের ১৭ই মে তারা মালদায় ফিরে আসে। এরপর তাদের লালা রস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। সেইমতো তাদের অনেককেই মালদা থানার নারায়ণপুরের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের ফের পরীক্ষি করানো হলে করোণা নেগেটিভ আসে। সেইমতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ১২জন পরিযায়ী শ্রমিকদের সার্টিফিকেট দিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর তারা গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু দেখা যায় গ্রামের মানুষ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। কলে জল নেওয়া থেকে দোকানে জিনিস কিনতে যাওয়া সব ক্ষেত্রেই তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রামের মধ্যে চলাফেলার ক্ষেত্রেও তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে এক শ্রমিক বলেন, তাদেরকে করোনা পজিটিভ বলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এরপর তাদের সার্টিফিকেট দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্রামের মানুষ আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। আমরা এমত অবস্থায় কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। প্রশাসন আমাদেরকে সুষ্ঠুভাবে চলাফেরার জন্য ব্যবস্থা করুক।
মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিজাম আলী বলেন, গ্রামের মানুষ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। আমরা রোগের সঙ্গে লড়াই করব রোগীর সঙ্গে নয়। এই নিয়ে আমি গ্রামের মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।