আমফানে কেড়ে নিয়েছে বাড়ি, অসহায় খেজুরির তিন মেয়ে ও মা
ভীষ্মদেব দাশ, খেজুরি (পূর্ব মেদিনীপুর): আমফানের তাণ্ডবে শেষ হয়ে গিয়েছে মাথা গোঁজার ছোট্ট বাড়িটি। ছোট্ট বাড়িটিতে থাকতেন তিন মেয়ে নিয়ে এক মা। আমফান কেড়ে নিয়েছে বাড়িটি। ঝড় ও জলের ফলে ধ্বংস হয়েছে বাড়ি। খুব কষ্টে রয়েছেন খেজুরির অসহায় মা ও তিন মেয়ে।
আমফান ঝড়ের আশঙ্কায় তিন মেয়েকে নিয়ে রেসকিউ সেন্টারে রাত কাটিয়েছিলেন কাঞ্চনা আড়ি। পরদিন সকালে রেসকিউ সেন্টার থেকে ফিরে দেখেন বাড়ি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। রেশনে পাওয়া চাল, আটাও জলের জলে। খেজুরি-২ ব্লকের সাতখন্ড গ্রামের ছোট্ট বাড়িটি নেই। রাস্তার ধারে সরকারি জায়গাতে কোনওরকম মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ছিল।
ভিটেমাটি হীন উত্তম আড়ি। সরকারি জায়গায় বাড়ি ছাড়া জমিজায়গা কিছু নেই। কাঞ্চনা দেবীর স্বামী উত্তম আড়ি পেশায় রাজমিস্ত্রী। কাজে গিয়ে উড়িষ্যা রাজ্যে আটকে পড়েছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের জেরে ফিরতে পারেননি বাড়ি। খোঁজ খবর নেওয়ার মতো ফোনও নেই কাঞ্চনা আড়ির কাছে। উত্তম আড়ি উড়িষ্যা রাজ্যে আটকে থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কাঞ্চনা আড়ি। অর্থাভাবে খাওয়ার জোগাড় করতে পারছেন না তিনি। তারওপর বাড়িটাও নেই। ত্রিপল ঘিরেই ছোট্ট তিন মেয়েকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন কাঞ্চনা আড়ি। রেশন থেকে চাল, আটা পেয়েছিলেন। প্রবল বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছে সব। রেশনের চাল রোদে শুকনো করে তিন মেয়ের মুখে খাওয়ার তুলে দিচ্ছেন দুবেলা। প্রশাসনের তরফে এখনও কেউ কোনও সহযোগিতা করেননি বলে কাঞ্চনা আড়ি জানিয়েছেন। প্রশাসনের কাছে কাঞ্চনা আড়ির অনুরোধ একটু সহযোগিতা করার জন্য। স্বামীকে উড়িষ্যা থেকে ফিরিয়ে আনার আকুতিও তাঁর। খেজুরি-২ ব্লকের বিডিও রমল সিং বির্দি পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন।