যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আমফানের ক্ষতিপূরণ মেটানোর জন্য নবান্ন থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। , সরকারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে পানীয় জল সরবারহের জন্য ১০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, নোনা জল যেসব জায়গায় ঢুকেছে, সেখানে একধরনের বীজ রাজ্য সরকার আবিষ্কার করেছে। কৃষি দফতরের আবিষ্কৃত এই বীজ ব্যবহার করে নোনা জলেই ধান চাষ করা সম্ভব। “নোনা স্বর্ণ” নামে এই ধান ওখানকার মানুষ চাষ করতে পারবে। তাছাড়া নোনা জলে মাছ চাষও করতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী তার নাম রাখেন ‘নোনা স্বর্ণ মৎস’। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়ে যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেক পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও, পানের বরজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেই চাষিদের পাঁচ হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে রাজ্য, ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি রাজ্যস্তরের টাস্কফোর্স করা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে, যে দল প্রতিটি জেলাস্তরীয় টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে প্রতিদিন বৈঠক করবে। কতটা কাজ এগিয়েছে, তার হিসেব নেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে কোনও কাজ আটকে না থাকে, সেই উদ্দেশে জেলাস্তরে টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় তৈরি হওয়া এই টাস্ক ফোর্সে জেলাশাসক, এসপি, জেলা প্রশাসনের সভাধিপতি, বিডিও, থানার আইসি ও বিধায়করা থাকবেন। একেবারে তৃণমূলস্তরের কাজও যাতে বাদ না যায়, তা দেখার জন্যই এই টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত। তাহলে আরও দ্রুত কাজ হবে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি, তিনি জানান, আমফানের জেরে ৬ কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ৮৭ জন, সওয়া আট লক্ষ লোককে সরানো হয়েছে। সাড়ে চার লক্ষ ইলেকট্রিক পোল ভেঙে গিয়েছে। সাড়ে দশ লক্ষ হেক্টর চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। এক লক্ষ হেক্টর পানের বরোজ নষ্ট হয়েছে। এই সমস্যা কাটাতে সরকার সবরকম সহায়তা করবে বলেই জানান তিনি।