রায়গঞ্জের ছেলের হাতে খুন বাবা
শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, রায়গঞ্জ ঃ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠলো মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের বিরুদ্ধে। স্বামীকে বাঁচাতে এসে গুরুতর জখম হলেন স্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ ব্লকের টেনোহরি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ঐ ব্যাক্তির নাম মরন চন্দ্র দাস (৭০)। খুনের অভিযোগে ছেলে নীলকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে দিল্লি থেকে রায়গঞ্জ ব্লকের টেনোহরি গ্রামে এসে বাড়ি করেন মরন চন্দ্র দাস। ছেলে নীলকান্ত দাস দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলো। দিল্লির এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা চলছিল তার। মৃত মরন দাসের স্ত্রী মালতী দাস বলেন, আজ বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ নীলকান্তকে তার বাবা দোকান থেকে ডাল কিনে আনতে বলেন। এই কথা শুনেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে নীলকান্ত অসুস্থ বাবা মরনবাবুর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। দাঁ দিয়ে কোপাতে থাকে তাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতেই লুটিয়ে পড়েন মরনবাবুর। তাঁর আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে আসলে আমাকেও আঘাত করে। ” এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত নীলকান্তকে ধরতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে সে। স্থানীয় বাসিন্দারা চারদিক দিয়ে ঘিরে নীলকান্তকে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। টেনোহরি গ্রামে ছুটে আসে পুলিশ। এরপর,স্থানীয় বাসিন্দারা নীলকান্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ মরন দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।