ডিস্ট্রিক্ট জজের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হল আনিসের দেহ
আজ ফের আমতা থানার ওসিকে ভবানীভবনে তলব

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে আনিস কাণ্ডে কবর থেকে দেহ তোলা নিয়ে ওঠা চাপান-উতোরের আজ অবসান হল। এদিন একজন ইমাম, দুজন চিকিৎসক, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ আধিকারিকদের সামনে তোলা হয় দেহ। তবে এদিন দেহ তুলতে গিয়ে ফের স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন সিট-এর সদস্যরা। ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই দেহ তুলতে দেওয়া হবে বলে দাবি জানানো হয়। অবশেষে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট আসার পরেই দেহ তুলে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কাজের পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করা হয়। সেইসঙ্গে দেহ তোলার ছবি, স্টিল ফটোগ্রাফি করছেন অফিসাররা।
এদিকে আজ সকাল থেকে পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে সেইমতো ডিস্ট্রিট জজ আসার পরেই পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয়। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ময়নাতদন্তের সমস্ত প্রক্রিয়াটাই হবে ডিস্ট্রক্ট জজের সামনে।
এর আগে আনিসের দেহ উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হয়। তার পরেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিসে পরিবারের তরফে দাবি জানানো হয়। তবে সিট-নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের কথা নাকচ করে দেয় পরিবার। এর পরেই হাই কোর্ট রায় দেয় সিট-এর উপর ভরসা রেখে ডিস্ট্রিক্ট-জজের উপস্থিতিতে আনিসের দেহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় আনিসের পরিবার। এদিকে সোমবার আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ফের শনিভার কাকভোরে সিট-এর সদস্যরা পরিবারকে কিছু না জানিয়ে দেহ তুলতে যায়। ফের স্থানীয়দের বাধার সামনে পরে সিট-এর সদস্যরা। স্থানীয়রা বলে,’এইভাবে পরিবারকে না জানিয়ে দেহ তোলা মানে, চুরি করা। আমরা দেহ তুলতে দেব না।’ সেদিন আর এই কাজ এগোয়নি। আজ সম্পন্ন হল সেই প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে আজ ফের আমতা থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসার, ও একজন পিএসআইকে তলব করা হয়েছে। এই নিয়ে পঞ্চমবার তলব করা হল। ওই রাতে আমতা থানায় নাইট ডিউটিতে থাকা সব পুলিশ কর্মীদের তলব করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃতি হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা গ্রেফতারের পরেই তারা সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, ঘটনার দিন রাতে আমতা থানার ওসির নির্দেশেই আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা। এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে।
তথ্যের সূত্র ধরেই আমতা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারী অফিসাররা।