
ক্রাইস্টচার্চ: নিউজিল্যান্ডে পৌঁছনোর পর পাকিস্তানের ৬ জন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর কড়া বার্তা দিয়েছিল সেদেশের সরকার। নিউজিল্যান্ড সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, করোনা বিধি মানতে আর কোনও ভুল হলেই সরাসরি দেশে ফিরে যেতে হবে পাকিস্তান দলকে। এরপরও করোনার থাবা থেকে রক্ষা পেল না পাক শিবির। আরও এক ক্রিকেটার আক্রান্ত হলেন এই মারণ ভাইরাসে। যার জেরে ঘোর অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে সিরিজ।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দলের আরও এক সদস্যের করোনা রিপোর্ট আজ পজিটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ।’ তারা আরও জানিয়েছে, প্রোটকল না মানার বিষয়টি খুব গুরত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই পাক দলকে অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যা পরিস্থিতি তাতে এরপর যদি আর কোনও ক্রিকেটার আক্রান্ত হন, তাহলে সিরিজ বাতিল করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
২৪ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রাখেন পাকিস্তানের টেস্ট, টি-২০ দল ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ৫৩ জন সদস্য। সেদিন সকলেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট আসতেই চক্ষু চড়কগাছ কিউয়ি প্রশাসনের। দেখা যায়, পাক দলের ৬ জন ক্রিকেটার এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড প্রশাসন। কারণ নিউজিল্যান্ডের বিমান ধরার আগে লাহোরে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল এই ক্রিকেটারদের। তখন দলের কোনও সদস্যের করোনা সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
অথচ ক্রাইস্টচার্চে নামতেই ৬ সদস্যের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ক্ষুব্ধ কিউয়ি প্রশাসন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দেয়। পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, করোনা বিধি ঠিকভাবে না মানলে পুরো দলকে দেশে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু এই ঘটনার দু’দিনের মধ্যে আরও এক ক্রিকেটার আক্রান্ত হওয়ায় দু’দেশের মধ্যে সিরিজ এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার আবারও পাকিস্তানের সকল সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হবে। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নিউজিল্যান্ড সরকার।