
জয় গোস্বামী
আমার ঘরের বাইরে দেবদারু গাছের পাতায় সকালের রোদ্দুর। একটা নরম আলো তেরচা হয়ে এসে পড়েছে বারান্দায়। এ আলো হেমন্তের আলো। অথচ আজ পঞ্চমী। কিন্তু শারদ প্রাতে বলি কি করে! শরৎ চলে গিয়েছে, হেমন্ত এসেছে। আমরা এ যাবৎ জেনে এসেছি বাঙালির দুর্গোৎসব শরৎকালের উৎসব। স্মরণাতীত কালে কার্তিক মাসে দুর্গাপুজো শেষ কবে হয়েছে মনে করতে পারছি না। রামচন্দ্র রাবণবধের জন্য অকালবোধন করেছিলেন। শরৎকালের সেই দুর্গাপুজোই কালক্রমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তাই এই দুর্গাপুজো শারদীয় দুর্গোৎসব।
তবে করোনা নামক অতিমারির জেরে এবারের দুর্গোৎসব অন্য রকমের। প্রথমে টানা লকডাউনে ঘরবন্দি জীবন। তারপর ধীরে ধীরে আনলকের নানা পর্ব চললো। আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু হল। মানুষ ঘরের বাইরে পা রাখলো, কিন্তু করোনা কে লাগাম পরানো গেল না। করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।
আরও পড়ুন: করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, উড়ে গেল চারতলা বিল্ডিং-এর ছাদ
উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। এই আবহে কলকাতা হাইকোর্ট জনসাধারণের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে মণ্ডপে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। আমি মনে করি মানুষের জীবনের সুরক্ষায় ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি নিজে কোন মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে যাবো না। সবাইকে অনুরোধ করবো কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে মণ্ডপে না যেতে। এ বছরটা না হয় ঘরে বসেই ঠাকুর দেখুন। শারদোৎসবের শেষে সবাই যেন সুস্থ থাকেন এই কামনা করি। প্রার্থনা করি দেবী করোনাকে দূর করুন।
(অনুলিখন- শরণানন্দ দাস।)