তেলেনিপাড়া: রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন অর্জুন সিং-এর, পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবি লকেটের
তাপস মণ্ডল, হুগলি: হুগলির তেলেনিপাড়ার অশান্ত পরিবেশ নিয়ে হুগলির জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন দুই সাংসদ। বুধবার সকালে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ অর্জুন সিং জেলা শাসকের অফিসে যান। কিন্তু এদিন জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর তাদের সাফ জানিয়ে দেন তিনি একটি অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন তিনি দেখা করতে পারবেন না। এই ঘটনায় ডিএম অফিস চত্বরে দুই সাংসদ সহ একাধিক বিজেপি কর্মীরা ধর্নায় বসে পড়েন।
এদিন তেলেনিপাড়া প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েক দিন যাবৎ ভদ্রেশ্বর থানার তেলেনিপাড়া এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহত। জেলায় এত পুলিশ থাকা সত্বেও তারা কিছুই করতে পারছেন না। অবিলম্বে লকেট চট্টোপাধ্যায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির ও ভদ্রেশ্বরের আইসির অপসারন দাবি করেন। বলেন, পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট ভাবে কাজ করছে। তাই সেখানে অশান্তি থামছে না।
পাশাপাশি হুগলির জেলা শাসককেও এক হাত নিয়ে লকেট বলেন, শেষ দুই মাস ধরে জেলাশাসক আমার সঙ্গে দেখা করছেন না। এই মহামারীর সময় সবাই গৃহবন্দি। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। অনেকেই বাড়িতে বসে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজ করছেন। সেখানে জেলার একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, আমরা এদিন হুগলির জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। কিন্তু জেলা শাসক বলছেন অতিরিক্ত জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করুন। তেলেনিপাড়ায় মানুষ বিপন্ন অথচ জেলাশাসক সাংসদদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না। এটা উনি করতে পারেন না। এরপরই অর্জুন সিং বলেন, এর জবাব জেলাশাসককে দিতে হবে লোকসভায়। ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। প্রিভিলেজ আনলেই ওনাকে জবাব দিতে হবে। জেলাশাসক প্রিভিলেজের উপরে নয়। তেলেনিপাড়ায় হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত, সেখানে উনি দেখা করবেন না। এরপর অর্জুন সিং বলেন, বাংলার যা পরিস্থিতি এখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দরকার।
উল্লেখ্য, রবিবার থেকেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া এলাকা। সেই ঘটনায় ওই এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনা ঘটার পরের দিনও পুলিশ ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। কিন্তু পুলিশ তার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাকে ওই এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়। তারপর গোটা ঘটনাটি লকেট রাজ্যপালকে জানান। বুধবার হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান। কিন্তু তিনি দেখা করেন নি।